সকল মেনু

কেমন আছে আদুরী!

DB,-,-Saimon------119-bg-20131001052918 আছাদুজ্জামান, হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা:  ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসারত আদুরীর (১১) শারীরিক অবস্থা এখন ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে। সোমবার থেকে ১০ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিমের পরামর্শ অনুযায়ী আদুরীর চিকিৎসা চলছে। এর আগে গত রোববার বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর সোমবার ফের মেডিকেল বোর্ড পুনর্পর্যালোচনার জন্য ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) আসে এবং আদুরীকে দেখার পরে তাকে ব্লাড ট্রান্সফিউশনের পরামর্শ দেয়। আদুরীর সুচিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের নির্দেশে গত ২৮ সেপ্টেম্বর মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে সভাপতি করে আট সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আদুরীর রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, সিটি স্ক্যান, এক্স রে, ইউরিন টেস্ট করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রেডিয়াট্রিকস বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী আদুরীর চিকিৎসা চলছে। ওই দিনই নিউরো-সার্জারি থেকে আদুরীকে ওসিসি-তে ট্রান্সফার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান হটনিউজকে বলেন, ‘আদুরী এখন নিজে নড়তে পারছে। কিছু খাবারও নিজের হাতে গ্রহণ করতে পারছে।’ হাসপাতাল থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। রাজধানীর পল্লবীর গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহানের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আদুরী। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের (ভিএসএস) সার্বিক তত্ত্বাবধানে পল্লবী থানায় আদুরীর মামা (নজরুল ইসলাম) বাদী হয়ে নওরীন জাহান নদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওসিসি’র আইনজীবী আদুরীর মামার ওকালতনামা গ্রহণ করেছেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, আদুরী গত এক বছর ধরে পল্লবীর নওরীন জাহান নদীর বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিল। ওই বাসায় কর্মরত থাকার সময় কাজের ছোটখাটো ভুলত্রুটির জন্য গৃহকর্ত্রী বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। ঠিকমতো খেতে দিতেন না।তার মা এবং আত্মীয়-স্বজনসহ কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতেন না। প্রতিমাসের ৫০০ টাকা চুন্নু মিয়া (গৃহকর্ত্রীর আত্মীয়) আদুরীর মাকে পৌঁছে দিতেন। এভাবেই চলছিল আদুরীর জীবন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর লিলি নামে এক নারী ক্যান্টনমেন্টের এক ডাস্টবিনে মুমূর্ষু অবস্থায় আদুরীকে দেখতে পান এবং ক্যান্টনমেন্ট থানায় যোগাযোগ করেন। পরে ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ আদুরীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো-সার্জারি ওয়ার্ডে (২০৪নং ওয়ার্ডে) ভর্তি করে। সেখান থেকে ওসিসি-তে ট্রান্সফার করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top