স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি বিজ্ঞাপ্তি দিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতারণায় গুরুতর অনিয়ম ধরা পড়েছে বেসরকারি প্রাইম ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে। ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে জালিয়াতি ও প্রতারণাপূর্ণ বিজ্ঞাপন প্রচারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির মিরপুর ক্যাম্পাসকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ লংঘন করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দেয়ার ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলকেও চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। জালিয়াতির এ ঘটনাকে গুরুতর অপরাধ অভিহিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, মিরপুরের ওই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। বিজ্ঞাপনে অভিযুক্তরা মন্ত্রণালয়ের নাম ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্য তথ্য প্রচার করছে। Primপ্রাইম ইউনিভার্সিটির মিরপুর ক্যাম্পাসের উপাচার্যকে দেয়া কারণ দর্শানো নোটিশে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সকল ভর্তি বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। আর বিজ্ঞাপনে মিথ্য তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। কোন শাখাকে অবৈধ বা বৈধ বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোন আদেশ জারি না করলেও মিরপুর ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে প্রচার করছে যে, ‘মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি মিরপুর ক্যাম্পাসকে বৈধতা দিয়ে উত্তরা ক্যাম্পাসকে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে’। অথচ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ধরনের কোন আদেশ কখনোই দেয়নি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করে মন্ত্রণালয়ের নাম ব্যবহার করে দেশজুড়ে এই মিথ্য তথ্য সম্বলিত বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে শোকজ নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।চিঠি পাওয়ার তিন কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। একইভাবে ভাবে আদালতের আদেশ অমান্য করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়কেও অবহিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের এক উধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেন, একটি মামলায় স্থিতাবস্থা বজায় থাকায় ভর্তি সংক্রান্ত বা অন্য কোন বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বন্ধ রাখার আদেশ আছে মহামান্য হাইকোর্টের। প্রাইম ইউনিভার্সিটির আসল মালিক খুঁজতে ক’দিন ধরেই কাজ করছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।কিন্তু দু’টি পক্ষ এর মালিক দাবি করলে বেকায়দার পরে সরকার। এতদিন মিরপুরের একটি পক্ষ নিজেদের মূল দাবি করলেও সম্প্রতি উত্তরার পক্ষ দাবি করে ট্রাস্টি বোর্ডের সংখ্যাগরিষ্ট সদস্য তাদের।