সকল মেনু

রেললাইন সহ দ্বিতীয় ভৈরব সেতু নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর-রেলপথ মন্ত্রী

signing ceremony railway ministry...রেলভবন থেকে ঢাকা,১০ সেপ্টেম্বর: রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের সংযোগ রেললাইন সহ দ্বিতীয় ভৈরব সেতু নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নিমার্ণকরী প্রতিষ্ঠান ইরকন (ওজঈঙঘ) ও এফকনস (অঋঈঙঘঝ) এর যৌথ সম্বন্বয়ে গঠিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (প্রকল্প) মোঃ মোজাম্মেল হক এবং নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ছিলেন ইরকনের মহাব্যবস্থাপক (ব্যবসায় উন্নয়ন) যোগেশ চন্দ্র মিশ্র।

ভারত এর ডলার ক্রেডিট চুক্তির অধিনে দ্বিতীয় ভৈরব সেতু নিমার্ণ করা হচ্ছে। এতে ব্যায় হবে ৫ শ ৬৭ কোটি ১৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭শ টাকা। চুক্তি স্বাক্ষরের ৩০মাসের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার জন্য চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ৯৮২.২০ মিটার এবং সংযোগ রেললাইন হবে ২.৮২ কিঃ মিঃ। দ্বিতীয় ভৈরব সেতু কিশোরগঞ্জ এবং ব্রাম্মনবাড়ীয়া এই দুই জেলার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক এমপি, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য দ্বিতীয় ভৈরব সেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনে ডাবল লাইনের বিভিন্ন অংশের কাজ চলমান রয়েছে। পুরো অংশ ডাবল লাইন হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলযোগাযোগ খুব দ্রুত ও সহজ হবে। আর এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ভৈরব সেতু একটি মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদুত পঙ্কজ সরণ বলেন, ভারতের ঋণের ১বিলিয়ন ডলারের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে ৭শ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য এ অর্থ গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখছে। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রেলওয়ে উপদেষ্টা মিসেস চন্দ্রীমা রাও, রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আবু তাহের সহ উর্দ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

এর পূর্বে রেলপথ মন্ত্রী রেলভবনে নব নির্মিত সম্মেলন কক্ষ যমুনা এর উদ্বোধন করেন এবং এ সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top