সকল মেনু

পাপ যেভাবে অন্তর কলুষিত করে

হটনিউজ ডেস্ক:

অন্তর মানবদেহে চালকের আসনে থাকে। তাই পরকালে মানুষের অন্তর জবাবদিহির সম্মুখীন হবে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই, তার পেছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তর—এদের প্রত্যেকটি জিজ্ঞাসিত হবে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩৬)

পাপের দরুন অন্তরে কালো দাগ পড়ে যায়। পাপ বাড়তে থাকলে এই দাগের পরিধি বাড়তে থাকে।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, “মুমিন বান্দা যখন গুনাহ করে তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে যায়। এরপর সে তাওবা করে ক্ষমা চাইলে তার অন্তর পরিষ্কার হয়ে যায় (কালিমুক্ত হয়)। আর যদি গুনাহ বেশি হয় তাহলে কালো দাগও বেশি হয়। অবশেষে তা তার অন্তরকে ঢেকে ফেলে। এটা সেই মরিচা, যার ব্যাপারে কোরআনে আল্লাহ বলেছেন : ‘কখনো নয়; বরং তাদের কৃতকর্ম তাদের অন্তরে জং ধরিয়েছে।’’’ [(সুরা মুতাফফিফিন, আয়াত : ১৪) তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৩৪]

রাসুল (সা.)-এর বাণীর মর্মার্থ হলো, যদি কোনো ব্যক্তি গুনাহে লিপ্ত হয়, তখন সর্বপ্রথম এই গুনাহের ক্রিয়া অন্তরে পড়ে। অন্তর নিকষ কালো হয়ে যায়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২৪৪)

অন্তরে কালো দাগ পড়া মূলত মানুষের গুনাহের কৃষ্ণতা। আর এই কৃষ্ণতার নাম কোরআনুল কারিমে ‘রাইনুন’ শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে। কাজেই অন্তর স্বচ্ছ রাখার জন্য পাপমুক্ত জীবনে ফেরার বিকল্প নেই। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষের শরীরে একটি গোশতের টুকরা আছে। যদি এই গোশতের টুকরা ভালো হয়ে যায় তাহলে পূর্ণ শরীর ঠিক হয়ে যায়। আর যদি ওই গোশতের টুকরা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে পূর্ণ শরীর নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো! ওই গোশতের টুকরার নাম অন্তর।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৫৯৯)

মহান আল্লাহ আমাদের অন্তর স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন করুন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top