সকল মেনু

বগুড়ায় বিদ্যুতের লোডশেডিং

vvvvvvvvvvvvvvvv_7187_0বগুড়া অফিস:বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং ও ভাদ্রের অসহ্য গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিদ্যুত বিভাগ চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুত সরবরাহ করতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লোড শেডিং করছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। তাই গ্রাহকদের মনে প্রশ্ন উঠেছে ঘাটতি না থাকলে লোডশেডিং কেন?

বগুড়া বিদ্যুত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে , বগুড়া জেলায় বর্তমানে বিদ্যুত দরকার ১৮৪ মেঘাওয়াট। এর মধ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ৭৭ মেঘাওয়াট। বিশাল এ ঘাটতি মেটাতে লোড শেডিং করছে বিদ্যুত বিভাগ। শহর এলাকায় বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সরবরাহ কিছুটা বেশী পেলেও গ্রাম এলাকায় দায়িত্বপ্র্াপ্ত পল্লী বিদ্যুত সমিতির সবররাহ খুবই কম। তাই শহরের চেয়ে গ্রামে লোড শেডিংএর পরিমাণ অনেক বেশী। ফলে লোডশেডিং এ অবস্থা কাহিল গ্রাহকদের । এর পাশাপাশি কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং ব্যবসায় বাণিজ্যে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গ্রাহকদের দাবী নির্দিষ্ট সময়ে এলাকা ভেদে লোড শেডিং হলে গ্রাহকরা সেই প্রস্ততি নিতে পারে। কিন্তু যখন তখন হলে সমস্যার শেষ থাকে না।

বগুড়ায় দিনে ও রাতে গড়ে ৫-৬ ঘন্টা লোড শেডিং হচ্ছে। এমনকি শহরের ভিাআইপি এলাকা বলে পরিচিত জলেশ্বরীতলা , রহমাননগর ও সূত্রাপুর এলাকায় মধ্যরাতেও বিদ্যুত বন্ধ থাকে।

এদিকে ভাদ্র মাসের ভ্যাপসা গরমে মানুষ এমনিতেই গরমে সিদ্ধ হওয়ার উপক্রম। তারউপর ঘন ঘন লোড শেডিং এ আরো দূর্বিসহ অবস্থা।

পিডিবির বগুড়া বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ -১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন , আগে এক ফিডার বন্ধ করে লোড শেডিং করা হলেও এখন দু’ফিডার বন্ধ রাখা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top