সকল মেনু

ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্ততঃ ২০ জন আহত

clashm.jpg_10627_0.clashmগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্ততঃ ২০ জন আহত হয়েছে। এসময় দুইটি মটর সাইকেল ও তিনটি দোকান ভাংচুর করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ক্যাম্পাসে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পোষ্ট অফিস মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

আহত ছাত্রদল নেতা ইমরুল মিয়া (১৮) ও সাইফুল মোল্লাাকে (২২) গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে।

সংঘর্ষের ছবি তুলতে গেলে এনটিভি’র গোপালগঞ্জ স্টাফ করেসপন্ডেট মাহবুব হোসেন সারমাতকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তিনি গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ ৮/১০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করতে সফরে আসেন। তখন স্থানীয় একটি রেস্তোরায় জেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সাথে কেন্দ্রীয় নেতাদের এক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রিন্সিপ্যাল এম এইচ খান মঞ্জু ও বর্তমান সভাপতি সিরাজুর ইসলাম সিরাজের ছাত্রদলের সমর্থক নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরোধ হয়। এঘটনার জের ধরে শনিবার সিরাজ সমর্থক ছাত্রদল নেতা ইমরুল মিয়াকে কলেজ ক্যাম্পাসে মঞ্জু সমর্থক ছাত্রদলনেতা শরীফুল ইসলাম রোমানের নেতৃত্বে ১৫/১৬ জন এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ইমরুলের সমর্থক ও এলাকার লোকজন তার পক্ষে কলেজ ক্যাম্পেসে রামদা’, ছ্যানসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়। এছাড়া পোষ্ট অফিস মোড়ে সোহাগ হোটেলের সমানে দুইটি মোটরসাইকেল ও তিনটি দোকানে হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ এস কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে াানে।

বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সিরাজ সমর্থক ইমরুল মিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকের সময় মঞ্জু সমর্থকদের বের করে দেয়া হয়। এ ঘটনার জের ধরে মঞ্জু সমর্থক শরিফুলসহ ১৫/১৬ আমাকে একা পেয়ে কুপিয়েছে।

মঞ্জু সমর্থক ছাত্রদল নেতা শরীফুল ইসলাম রোমান জানান, বর্তমানে ছাত্রদলের যে সব কমিটি আছে, তা আমরা মানি না। ওইদিন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সামনে এ কথা বলায় সিরাজ সমর্থক ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার বিবাদ হয়। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মতিয়ার রহমান জানান, সংঘর্ষ থামাতে ৮/১০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠি চার্জ করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। কলেজের আশ-পাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top