সকল মেনু

এবার সাইবার ঝুঁকি: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিক্রিয়া জানতে চান অর্থমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক: এবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের কাছে মিডিয়াতে প্রকাশিত সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি মোকাবেলা রিপোর্ট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কি ধরনের কার্ষক্রম গ্রহণ করেছেন তাও তাকে জানাতে বলেছেন । ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার সাইবার সিকিউরিটি মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা টিম গঠনে বিলম্ব হওয়ার চিঠির প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রী ঈদের আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবিরের কাছে এর একটা ব্যাখ্যা চেয়েছেন । আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের বিভিন্ন পত্রিকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত্র সংবাদ প্রকাশ পর গত ১৬ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট থেকে একটা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল ।

এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের খবর প্রকাশ হয়েছে। এ ধরনের হ্যাকিংয়ে পেমেন্ট সিস্টেমস হ্যাক করে দেশের ভেতরে ও বিদেশে থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয় সাইবার অপরাধীরা। উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এ ধরনের সাইবার সিকিউরিটি ও হ্যাকিং সংক্রান্ত নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছে।এমতাবস্থায়, সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যাংক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থার নিরাপত্তা বাড়াতে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ ও ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট ইস্যুকৃত প্রজ্ঞাপণের নির্দেশনা পরিপালন করতে বলা হয়েছে ।

গত ৯ আগস্ট, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী এক চিঠিতে বলেন, চীন, জাপান, কাজাকস্তান ও রোমানিয়া এই চার দেশের হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটারগুলোতে ম্যালওয়্যার স্থাপন করে অনবরত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। চিঠিতে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার বসিয়ে এভাবে তথ্য চুরির বিষয়টি ধরা পড়েছে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের স্থাপন করা সাইবার সেন্সরে। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে সতর্ক করা হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রয়োজনীয় সাইবার সিকিউরিটি টিম না থাকার কারণে তথ্য চুরির ঘটনা বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্ররুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। পাঁচটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এই অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপাইনে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বেশ কয়েকটি জুয়ার টেবিল ঘুরে হাতবদল হয়। এর মধ্যে দেড় কোটি ডলার ফেরত এলেও বাকি অর্থ উদ্ধারে এখনও তেমন কোনও অগ্রগতি নেই। এমনকি পুরো বিশ্বে আলোচিত এই সাইবার চুরির পেছনে কারা জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি। বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলা এই রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি অর্থমন্ত্রীর কাছে অনেক আগে প্রতিবেদন জমা দিলেও এ পর্যন্ত তা প্র্রকাশ করা হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top