সকল মেনু

এবার আধঘণ্টা আগে রেলের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

রাজশাহী প্রতিনিধি: এবার রেল ভবনে পরীক্ষার্থীদের ভিড়বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট কালেক্টর গ্রেড-২ পদের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজশাহীতে এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তা স্থগিত করে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থীরা রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেল ভবনের (রাজশাহী) সামনে বিক্ষোভ করেছে।

রাজশাহী রেলওয়ের কর্মকর্তা (সিএসটি) অসিম কুমার তালুকদার বলেন, ‘পরীক্ষা আগামী এক মাস পর পুনরায় নেওয়া হবে।’

তবে কী কারণে হঠাৎ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে জানতে চাইলে অসিম কুমার তালুকদার বলেন, ‘নিয়োগ কমিটি বিষয়টি বলতে পারবে।’ কারা এই কমিটিতে আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারবো না। আর রেলওয়ের সব খবর তো আমি রাখতে পারি না।’

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জিএম আবদুল আওয়াল ভূইয়াঁকে ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট কালেক্টর গ্রেড-২ পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হয় গত বছরের নভেম্বর মাসে। এরপর পরীক্ষার তারিখ জানানো হয় আরও দুই মাস পর। পরীক্ষার নির্ধারিত দিন ধার্য হয় শুক্রবার (২০ জুলাই)। পরীক্ষার্থীরা আগের দিন (বৃহস্পতিবার) রাত থেকেই ভিড় জমায় রাজশাহীর বিভিন্ন হোটেল এবং স্টেশন এলাকায়। দুপুরে তারা নিজ নিজ কেন্দ্রে গেলে জানতে পারেন তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও সিট বসানো হয়নি। এরপর তারা নগরীর রেলগেট সংলগ্ন রেলভবনে এসে দেখেন পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ ঝোলানো আছে।

পটুয়াখালী জেলা থেকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শামীম হোসেন বলেন, ‘আমরা তো আর ক্লাস এইটে পড়ি না যে আমাদের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হবে। এই অনিয়মের কোনও প্রতিকার কী রেলওয়ে বা সরকার দিতে পারবে?’

ঢাকার নবীনগর থেকে আসা রুবেল ইসলাম বলেন, ‘এখানে আসতেও অনেক অর্থ, শ্রম আমাদের দিতে হয়েছে। যাদের ১৫ বা ২০ লাখ টাকা আছে, তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।’

এদিকে নিয়োগ পরীক্ষার্থীদের শান্ত করতে প্রথমে পুলিশ এবং পরে র‌্যাব রাজশাহী রেলভবনের সামনে এসে উপস্থিত হয়। তাদের কথায় না সরলে সেখানে রাজশাহী রেলওয়ের কর্মকর্তা (সিএসটি) অসিম কুমার তালুকদার সেখানে পৌঁছে পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর হতাশ হয়ে একে একে ফিরে যেতে থাকেন পরীক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বরিশাল থেকে ১৪ হাজার, দিনাজপুর থেকে ছয় হাজার এবং নওগাঁ থেকে দুই হাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিতে এসেছিল। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার মাত্র আধঘণ্টা আগে তারা জানতে পারেন পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এতে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন পরীক্ষার্থীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top