সকল মেনু

এবার রাজনীতিবিদদের মনোনয়ন দিতে শেখ হাসিনাকে তৃণমূলের অনুরোধ

হটনিউজ ডেস্ক: এবার রাজনীতিবিদদেরকেই আগামীতে মনোনয়ন দিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করেছেন দলের তৃণমূল নেতারা। তারা প্রতিশ্রুতিতে বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।’ শনিবার (৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় তৃণমূল নেতারা এ অনুরোধ জানান। এ আয়োজনে অংশ নেন ঢাকা, খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা।

তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য শুনে সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সংগঠনকে শক্তিশালী করবেন। নৌকার ভোট ছাড়া আর কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারও চেহারা দেখার দরকার নেই। শুধু নৌকায় ভোট দেবেন। এটাই সবার কাছে প্রচার করবেন।’

আওয়ামী লীগ সভাপতির ভাষ্য, ‘আমাদের সরকারের উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত তূলনামূলক চিত্র সাজিয়ে আপনাদেরকে একটা খামে করে উপহার দিয়েছি। এটা নিয়েই আপনারা জনগণের কাছে যেতে পারবেন। আওয়ামী লীগ কী কী উন্নয়ন করেছে তা বলতে পারবেন। আপনারা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে জনমত তৈরি করুন। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত রাখতে হবে।’

যা বললেন তৃণমূল নেতারা
গণভবনে আহ্বান করায় দলীয় সভাপতিকে তৃণমূলের লক্ষ-কোটি নেতাকর্মীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সনজু মিয়া। তার কথায়, ‘আপনার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, আওয়ামী লীগ করে আমার আর কোনও চাওয়া-পাওয়া নেই। আপনি যাকে মনোনয়ন দেবেন, আমরা তাকে নির্বাচিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। আমরা চাই রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও রাজনীতিবিদদেরকেই আগামীতে মনোনয়ন দেবেন।’
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মানিক সরদার বলেন, ‘আমরা তৃণমূল নেতারা এক ও অভিন্ন। নৌকার বিজয়ের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবো। আমাদের শরীয়তপুরে তিনটি আসনে আগামী নির্বাচনে আপনাকে সংসদ সদস্য উপহার দিতে সক্ষম হবো। আমরা চাই, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও রাজনীতিবিদদেরকেই আগামীতে মনোনয়ন দেবেন।’ বর্তমান সরকারের উদ্যোগে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে বলে আশাবাদী তিনি।

একই সুরে কথা বললেন বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময় আমরা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। আমরা তৃণমূলে আজও ঐক্যবদ্ধ। আপনি যাকে নৌকা মার্কা দেবেন তাকে জয়ী করার জন্য আমরা কাজ করে যাবো। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় নৌকার প্রার্থীদের আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করে আমরা আপনার হাতকে শক্তিশালী করবো।’

বাগেরহাটের এই চেয়ারম্যান গ্রামীণ অর্থনীতিকে উন্নয়নে গড়ে তোলা সোলার বিদ্যুতের সমস্যা তুলে ধরেন। তার চোখে, ‘বাংলাদেশে একটি মাত্র কোম্পানি সোলারের ব্যবসা করে। একটি কোম্পানি হওয়ার কারণে অর্থ্যের ব্যয় ও সোলারের খরচ বৃদ্ধি পায়।’কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দবির উদ্দিন আহমেদেরও দাবি, তৃণমূলের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। বর্তমান সরকারের সময়ে কুষ্টিয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দলের সভাপতি নৌকা দিয়ে যে প্রার্থীকে নির্বাচনি ময়দানে পাঠাবেন, তাকেই জয়ী করতে আত্মবিশ্বাসী তারা।

লালমনিরহাট জেলার তিন বিঘা করিডোর এলাকার ধরগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান, ধলগ্রামে তার চার শতক জায়গার ওপর একটি বাড়ি আওয়ামী লীগের অফিস হিসেবে ব্যবহার করতে দিয়েছেন। তার ভাষায়, ‘আপনি আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন। আপনার অবদান, আপনার ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারবো না। আজ বাংলাদেশের যে উন্নয়ন তা ধরে রাখতে আমাদের হাত-হাত ও কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবশ্যই নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top