সকল মেনু

দেশে গুম নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চলছে : সজীব ওয়াজেদ জয়

বিদেশ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশে গুম নিয়ে প্রচারণার ভিত্তি হচ্ছে মিথ্যাচার। আর আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থাও বিএনপি’র এ সংক্রান্ত মিথ্যাচারকে গ্রহণ করেছে। ৪ জুন মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন টাইমসে লেখা এক নিবন্ধে এমন মন্তব্য করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

সজীব ওয়াজেদ জয়নিবন্ধে বলা হয়, শেখ হাসিনা যখন ২০০৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান ঘটানোর অঙ্গীকার করেন। এ লক্ষ্যে তাই তিনি তাত্পর্যপূর্ণভাবে কাজ করে গেছেন। অথচ বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের ভাষায় রাজনৈতিক নেতাদের ‘গুমের’ ঘটনায় সরকারকে দোষারোপ করার নীতি নিয়ছে। কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থাও এটি গ্রহণ করেছে। কিন্তু এটি প্রকৃত অবস্থাকে বদলে দেয় না। তাদের এ সংক্রান্ত দাবি পুরোপুরি অসত্য।

গুম সংক্রান্ত প্রতিটি খবরের তদন্ত করছে পুলিশ। তাদের তদন্তে সরকারের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর বদলে তারা যা পেয়েছে তা হচ্ছে, ‘নিখোঁজ’ ব্যক্তিদের অনেকেই আসলে সহিংস অপরাধের বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন।

৪৭ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বহু সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছে। এই গুমের ধারণার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ খুবই পরিচিত। ইতোপূর্বে সামরিক জান্তা ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই কৌশল অবলম্বন করেছিল।

যদিও এই অপরাধগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে নিঃশেষ হয়ে গেছে, তারপরও ভয় ও সন্দেহ দীর্ঘায়িত হয়েছে। বিএনপির সংহতিনাশক রাজনৈতিক কৌশল ব্যবহার নতুন নয়। উদাহরণস্বরূপ তারা ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে দেশজুড়ে অবরোধ আহ্বান করে। বিএনপি নেতারা এবং তাদের সহযোগীরাও হাজার হাজার বাড়িঘর, গাড়ি, ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড চালায়।

তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে তছনছ এবং সেগুলো ধ্বংস করে দেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০ কর্মকর্তাকে হত্যা করে এবং সরকারি ভবনগুলোতে অগ্নিসংযোগ করে। নির্বাচনের দিন তারা ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করে। সব মিলিয়ে বিএনপি-জামায়াতের হামলায় ২৩১ জন নিহত হন। আহত হন আরও এক হাজার ১৮০ জন।

বিএনপি নেতাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ওই কর্মসূচি কাজে লাগেনি। সরকার সহিংসতা বন্ধ করার জন্য সেনা মোতায়েন করে। অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত নেতাদের গ্রেফতার করে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দল আওয়ামী লীগ একটি প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক দিকনির্দেশনায় জাতির নেতৃত্ব দিচ্ছে। জনমত জরিপে বিএনপি’র অবস্থান নাজুক। তাদের নেতা তারেক রহমান গ্রেনেড হামলা পরিকল্পনার অভিযোগ এড়াতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২০ জন। বিএনপি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খোঁজার পথ বেছে নিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top