সকল মেনু

প্রধানমন্ত্রীর আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য প্রসারেসাত দফা প্রস্তাব

হটনিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তঃকমনওয়েলথ ব্যবসা, বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনার উন্নয়নের জন্য সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বাণিজ্য প্রশাসন আরও উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ করে তুলতে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার ‘কমনওয়েলথ’স রোল ইন প্রমোটিং ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন’ শীর্ষক এক বৈঠকে তিনি ওই প্রস্তাব দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই বাণিজ্য প্রশাসন উন্মুক্ত, আইন ভিত্তিক, স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করবো।’ তিনি বলেন, ‘আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনার লক্ষ্যে দেশগুলোকে অবশ্যই অভিন্ন সুযোগ-সুবিধা জোরদার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এ লক্ষ্যে সাত দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এগুলো হলো,
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শিল্প সম্ভাবনা ও উৎপাদনশীলতার খাত ভিত্তিক সমীক্ষা; ছড়িয়ে থাকা বিনিয়োগ সম্ভাবনাসহ অভিন্ন বিনিয়োগনীতি, নির্দেশনা ও কৌশল গ্রহণ; বাণিজ্য সহায়ক সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন ও পিটিএ-এফটিএ-এর অশুল্ক বাধা কমিয়ে আনা; সেবা বাণিজ্যের জন্য উদারশাসন ও স্বতন্ত্র পেশার সেবা সুবিধার জন্য খোলাবাজার চালু; প্রকৃত ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ যাতায়াত ও সরকারি-বেসরকারি ক্যাটাগরিতে নির্দিষ্ট লোকদের জন্য ভিসা সহজীকরণ; অবকাঠামো ও যোগাযোগ প্রকল্প গ্রহণ; এসএমই ও ব্লু ইকোনমি খাতসহ উৎকৃষ্ট কেন্দ্র এবং প্রতিষ্ঠানের সহায়তা এবং উন্নয়ন, আরএন্ডডি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তহবিল গঠন।

কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোর জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে, তাদের বৃহত্তম সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনা শক্তির পরিচালনায় কমনওয়েলথকে অবশ্যই এই বিপুল মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমাদের অবশ্যই প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্যে টানাপড়েন, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় হুমকি ও অর্থবাজারে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় কমনওয়েলথ কীভাবে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনার উন্নয়নে ইতিবাচক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে, সেটি এখন অধিক গুরুত্বপূর্ণ।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বর্তমানে আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্যের অনুমিত পরিমাণ ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামান্য বেশি। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের জিডিপিতে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের অবদান ১৬ শতাংশ, অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮টি দেশের এই অবদান ১৯ শতাংশ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে কমনওয়েলথ দেশগুলোর সম্মিলিত জিডিপি’র হার ৪ দশমিক ১ শতাংশ, এই তুলনায় ইইউ’র জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ।’ তিনি বলেন, ‘আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কমনওয়েলথ দেশগুলোর জনসংখ্যা ২শ’কোটির বেশি, যা ইইউ’র ৪ গুণ। এই হিসাব থেকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ব্যবসা ও বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা বোঝা যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top