সকল মেনু

নদী কমিশন আইনের সংশোধন – জরুরি সেমিনারে বক্তারা

হটনিউজ ডেস্ক: বিশ্ব পানি দিবস ২০১৮ উদাযপন উপলক্ষে এএলআরডি আয়োজনে এবং পানি অধিকার ফোরামের সহযোগিতায় বিপন্ন নদ-নদী, হাওর-জলাশয় সুরক্ষা এবং জনমানুষের জীবিকা: আমাদের করণীয়”শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল লাউঞ্জে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন। এতে হাওর, চলনবিল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের নদী, জলাশয়ের দখল ও দুষনের উপরে তিনটি পৃথক উপস্থাপনা দেন নজমুল হক, কাশমির রেজা, সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী এবং এসএম মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার কর্মী ও নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির এবং সুচনা বক্তব্য রাখেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।
হাওর অঞ্চলের উপস্থাপনায় কাশমির রেজা বলেন, কাবিটা নীতিমালায় কিছ ুপরিবর্তন করা হয়েছে। তবে নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। এ বছর হাওরের সর্বোচ্চ বাজেট একশ’ ৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশী।
সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লবণাক্ততা ও পানি সমস্যার উপস্থাপনায় বলেন, জোয়ার-ভাটা, লবণাক্ততা নিয়ে এই অঞ্চলে জটিলতা রয়েছে। ১৯৬১ সালের ¯’ায়ীপানিব্যব¯’াপনারউদ্দেশ্যে ক্রগ মিশনের পরামর্শে বাস্তবায়িত কর্ডন অ্যাপ্রোচই মূলত: এই জটিলতা সৃষ্টির জন্য দায়ি।
চলবিল অঞ্চলের পানি সমস্যা ও নদী দখলের উপরে উপস্থানায় স্থানীয় পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দিয়েএসএম মিজানুর রহমান বলেন, চলনবিল এলাকার আশেপাশে অনেকগুলো শিল্প কারখানার বর্জ্য, অটোরাইসমিলের ছাই, পৌরসভার বর্জ্য, পোল্ট্রি খামারের বর্জ্য, হোটেল/রেস্টুরেন্টের বর্জ্য, গৃহস্থালি বর্জ্য নদীতে ফেলার ফলে তা নদী,খাল, বিল, পুকুর, জলাশয় দূষিত করছে। অসংখ্য অপরিকল্পিত রাস্তা,কালভাট,স্লুইচ গেট নদীগুলোকে হত্যা করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় নদীরক্ষাকমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, সংশ্লিষ্ট সরকারি এজেন্সগুলোর সাথে মধ্যে সমন্বয়ের নদী রক্ষা কমিশন কাজ করছে। নদী রক্ষা আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জেলা উপজেলা পর্যায়ে থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ডাটা বেইজ তৈরি কাজ চলছে। তিনি আরো বলেছেন, কাজে বাধা আসতেই পারে কিন্ত আমরা পিছিয়ে যাবোনা। এরজন্য সামারি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নদী দখল রোধেরব্যবস্থা করবো। প্যানেল আলোচনায় সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নদ-নদী, হাওর বাওর নিয়েই গঠিতএবং অর্থনৈতিক উৎস্যেও জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এর বিপ্নœতার জন্য এই অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে। গত ২০-৩০ বছরের মধ্যে এর বিপন্নতা বেড়েছে। কিছু দুর্নীতিপরায়ণ জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক কুশীলবেরা দায়ী। যদিও অনেক আইন ও ব্যবস্থাপনা রব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু তাদের কোন কাজ নেই। এরজন্য তিনি জন প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
গবেষক ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন বলেন, আমরা হাওড় নিয়ে এখন কথা বলছি। ৫০-এর দশকের দিকে হাওরে তিনটি ফসল হতো। হাওরের ফসল নিয়ে ব্যাপক গবেষণা দরকার। কিভাবে এক ফসলী জমি দুই ফসল তিন ফসলে পরিনত করা যায়। বিভিন্ন এলাকার অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে কাজ করার কথা বলেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top