সকল মেনু

এবার সড়কের প্রধান প্রকৌশলীকে শাসালেন কাদের

হটনিউজ ডেস্ক: রাস্তার কাজের অনিয়মের কারণে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওয়াদুল কাদের। এর সঙ্গে দায়ী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা ও পরিবীক্ষণ) আবুল কাসেম ভূঁইয়াকে চেয়ার থেকে সরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৯তম বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান), রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, ফয়জুর রহমান, মো. মনিরুল ইসলাম এবং লুৎফুন নেছা বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর-ওয়ার্শী-বালিয়া সড়ক নির্মাণের অনিয়মের কারণে মন্ত্রী ক্ষুদ্ধ হন। ওই এলাকা কমিটির সভাপতির নির্বাচনী এলাকা। টাঙ্গাইল-জামালপুর জাতীয় মহাসড়ক ও ঢাকামুখী গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটি নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এর আগে সংসদীয় কমিটির সদস্য নাজমুল হক প্রধানকে আহ্বায়ক করে দুই সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরিদর্শন শেষে সংসদীয় উপ-কমিটি প্রতিবেদন দেয় বৈঠকে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়- কাজ মানসম্মত হয়নি। কাজ শেষ হওয়ার পর এখনই রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। ঠিকাদার কাজ শেষ না করেই বিল নিয়েছেন। রাস্তার কাজে পাথরের পরিবর্তে স্যালভেজ ব্যবহার করা হয়। রাস্তাটি উঁচু-নিচুসহ নানান অনিয়ম পায় সংসদীয় উপ-কমিটি। এজন্য বৈঠকে ক্ষেপে যান ওবায়দুল কাদের। সূত্র জানায়, বৈঠক উপস্থিত প্রধান প্রকৌশলীকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, ‘ আমি আপনার চেয়ার উল্টাতে জানি। ওই ঠিকাদারে লাইসেন্স বাতিল না হলে আপনার চাকরি থাকবে না। আর তাকে আবার কাজ করতে বলেন।’ এ সময় পাশে বসে থাকা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মুচকি মুচকি হাসলে মন্ত্রী আরও ক্ষেপে যান। ওই কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি হাসছেন কেন? এটা কি হাসার জায়গা? আমি কি হাসির কথা বলেছি?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন। মন্ত্রী যে কোনো কারণে আজ রেগে ছিলেন। তাছাড়া মির্জাপুর-ওয়ার্শী-বালিয়া রাস্তার কাজে চরম অনিয়ম হয়েছে। আমাদের এলাকারই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে আর যাব কোথায়? বৈঠকে ‘যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির কাজ গাছ না কেটে দ্রুত শুরু করতে এবং রাস্তাটি সচল রাখার স্বার্থে সংস্কারের সুপারিশ করে। কমিটি ভূলতা চার লেন ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প এবং জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করার সুপারিশ করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top