সকল মেনু

আ. লীগের তিন কারণে মনোযোগ শোডাউনের দিকে

হটনিউজ ডেস্ক:  আওয়ামী লীগতিন কারণে রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে শোডাউনের দিকে নজর দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রথমত, বিএনপি যাতে মাঠে নামার সাহস করতে না পারে ও তাদের মনোবলে চিড় ধরানো যায়, দ্বিতীয়ত, জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যাতে ঘনিষ্ঠ সেতুবন্ধন তৈরি হয় ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা যায় এবং তৃতীয়ত, দলের সব পর্যায়ের নেতাকে কাজের মধ্যে যুক্ত রাখা। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা এমন তথ্য জানান।

তারা জানিয়েছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে—এটা আওয়ামী লীগ চায়। তবে বিএনপি যাতে কোনোভাবেই সংগঠিত হতে না পারে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখছে তারা। মূলত অসংগঠিত বিএনপিকে নির্বাচনে দেখতে চায় ক্ষমতাসীনরা। দলের শীর্ষ নেতারা জানান, বিএনপি মাঠে নামার চেষ্টা করছে। বিএনপিকে মোকাবিলা করতে হলে আওয়ামী লীগের সব কর্মসূচিতেই শোডাউন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, ঢাকাসহ সারাদেশে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত যেকোনও কর্মসূচিতে সরব থেকে, মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করে দলের শক্তিশালী অবস্থান জানান দেওয়ার জন্যে শীর্ষপর্যায় থেকে ইতোমধ্যে দলের সর্বস্তরে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভাগীয় সফরেও শোডাউনের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর এসব জনসভায় মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্মীসভা, যৌথসভাসহ নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। এগুলো কেন্দ্রীয় নেতারাই দেখভাল করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক জনসমাগম ঘটানো প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কৌশল। আওয়ামী লীগও এর বাইরে নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে ৭ মার্চের কর্মসূচি নিয়ে লোকসমাগম ঘটানোর ব্যাপক প্রস্তুতির কারণ হলো এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। দিনটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় এদিনের কর্মসূচিতে শোডাউনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’

আওয়াম লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা মনে করেন, এরমধ্য দিয়ে বিএনপি চাপে পড়বে, মাঠে দাঁড়ানোর সাহস হারাবে। বিএনপির নেতাকর্মীরা মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়বে। আর এটি আগামী নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগের জন্য সুফল বয়ে আনবে। এসব বিবেচনায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চের কর্মসূচিতেও মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় আওয়ামী লীগ। এজন্যে শহরজুড়ে মাইকিং, পোস্টারিং এমনকি রাজপথে হেঁটে হেঁটে লিফলেট পর্যন্ত বিতরণ করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডিত হওয়ার পর বিএনপি মাঠে আসার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কিছুটা ছাড় পেয়ে গেলে তারা হুট করে মাঠে নেমে যাবে। তাদের ঠেকাতে হলে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে মাঠে থাকতে হবে। এজন্য আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে শোডাউন প্রদর্শন করার কোনও বিকল্প নেই। তাতে বিএনপি মাঠে নামার সাহস দেখাবে না। আর কখনও মাঠে নামার সুযোগ হলেও কর্মসূচি সফল করতে পারবে না তারা।

আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, খালেদা জিয়ার দণ্ডের পর ৭ মার্চের কর্মসূচিতে স্মরণকালের সর্বোচ্চ লোক সমাগম করে বিএনপিকে বার্তা দিতে চায়— জনগণও আওয়ামী লীগের পক্ষে রয়েছে। ৭ মার্চের কর্মসূচি ঘিরে প্রতিদিনই রাস্তায় লিফলেট বিতরণ করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে মাঠের কর্মসূচি নিয়ে আমরা আরও ব্যস্ত হবো। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি মানে কত লোক হলো বা না হলো–সেই বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। ফলে কর্মসূচিগুলোতে লোক সমাগমের প্রতি আমাদের আগ্রহ থাকেই।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top