সকল মেনু

খালেদা জিয়া যে প্রক্রিয়ায় আপিল করবেন

হটনিউজ ডেস্ক: নিম্ন আদালতে সাজা ঘোষণার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে সাজা থেকে খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করবেন। কিন্তু এই আপিল দায়েরের আগে তাকে বেশ কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

আপিল করতে হলে খালেদা জিয়াকে সর্বপ্রথম নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পেতে হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। তবে রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে না পাওয়া গেলেও আপিল করা যাবে বলে মনে করেন খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তার মতে, ‘রায়ের অনুলিপি ছাড়াও আপিলের সুযোগ রয়েছে। এমন নজির উপমহাদেশের অনেক মামলায়তেই রয়েছে।’

আপিলের সাধারণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন বলেন, নিম্ন আদালতের রায় হাতে পাওয়ার পর রায়টি পর্যালোচনা করে এ্রর ঘটনাগত ও আইনগত দুর্বলতা খুঁজে বের করা হবে। এরপর এসব গ্রাউন্ডের ওপর ভিত্তি করে আপিল ফাইল করা হবে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এই যুগ্ম সম্পাদক আরও বলেন, আপিল আবেদন দাখিলের পর আদালতে এর ওপর শুনানি হবে। শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেবেন। তবে আমরা বিশ্বাস করি, খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতের আদেশে বেকসুর খালাস পাবেন।

এ মামলায় লিভ টু আপিল করতে হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাইকোর্টের কোনও রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে সেক্ষেত্রে লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) প্রয়োজন হয়। তবে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে কোনও লিভ টু আপিল করতে হয় না। শুধু আপিল করলেই মামলাটি সরাসরি হাইকোর্টে শুনানির জন্য চলে আসে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯ ও ১০৯ ধারার অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় রায় ঘোষণা করেন আদালত। ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক  হমানসহ বাকি পাঁচ জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়।


ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলসহ তিনটি পৃথক আবেদন করার বিষয়ে ভাবছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এ নিয়ে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন  জানিয়েছেন, ‘প্রথমে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করবো। দ্বিতীয়ত, আপিল গ্রহণের পর জামিন আবেদন করবো। তৃতীয়ত, নিম্ন আদালতের সাজা স্থগিত চেয়ে আবেদন করবো।’ উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত হলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণে বাধা আইনত বাধা থাকবে না বলেও জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী। তবে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘একজন আইনজীবী হিসেবে আমি বলতে পারি বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ২ বছর সাজাপ্রাপ্ত কোনও অপরাধী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। তবে উচ্চ আদালত যদি উনার (খালোদা জিয়া) জামিন আবেদন গ্রহণ করেন তাহলে তার সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা থাকবে না।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top