সকল মেনু

চিরিরবন্দরে মহাসড়কে অতিরিক্ত গতি কমাতে দশমাইল হাইওয়ে পুলিশের অভিযান

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধের বিরুদ্ধে স্পিডগান (গতি পরিমাপের যন্ত্র) নিয়ে অভিযানে নেমেছে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে দশমাইল হাইওয়ে পুলিশ। গতিসীমা লঙ্ঘন করা গাড়ির পাশাপাশি থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত এবং শ্যালোমেশিন চালিত নছিমন, করিমন, ভটভটি ও শব্দ দূষণকারী হাইড্রোলিক হর্নের বিরুদ্ধেও অভিযান চালাচ্ছে তারা। ফলে গত জানুয়ারি ও গত ডিসেম্বর মাসে মহাসড়কে দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো: সারোয়ার রহমান জানান, মহাসড়কে বিশেষ করে সৈয়দপুর-দশমাইল সড়কে প্রতি নিয়ত দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা চলমান থাকতো। আর কুয়াশায় দুর্ঘটনার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই তীব্র শীত উপেক্ষা করে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে স্পিডগান দিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। এর ফলে গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এবং চলতি মাসে মহাসড়কে কোনো দুর্ঘটনা তথা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, রংপুর-দশমাইল মহাসড়কে নিরাপদ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার।

কিন্তু সড়কটি খুবই ভালো, তাই গতি বাড়িয়ে দেয় চালকরা। এছাড়া অভারটেকিং মানসিকতা, থ্রি-হুইলার, অসতর্কতার সঙ্গে পথচারী পারাপারের ফলেও ঘটে দুর্ঘটনা। গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার অতিক্রম করলে সেই গাড়ি বা চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আর এর চেয়ে নিচে ৭০ কিলোমিটার গতি থাকলে তাদের থামিয়ে শতর্ক করে দেওয়া হয়। প্রায় প্রতিদিন ২-৩টি করে মামলা করতে হয়। এ ছাড়া হাইড্রোলিক হর্ন থাকলে তা খুলে নেওয়া হচ্ছে। থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত এবং শ্যালোমেশিন চালিত নছিমন, করিমন, ভটভটি জব্দ করাসহ তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানের চালানোর সময় সকাল ১১টায় সৈয়দপুর-দশমাইল মহাসড়কের দশমাইল হাইওয়ে থানার সামনের এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, স্পিডগান হাতে গাড়ির গতি মাপছেন সার্জেন্ট মো: সারোয়ার রহমান।

এ সময় একটি প্রাইভেটকার এবং কার্ভাট ভ্যানকে থামার নির্দেশ দেওয়া হলো। স্পিডগানে দেখা গেল প্রাইভেটকারটির গতি ৯০ কিলোমিটার এবং কার্ভাট ভ্যানটির গতি ৮০ কিলোমিটার। গতিসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই দুই গাড়ির একটি গাড়ির মামলা ও নির্ধারিত গতিতে গাড়ি চালানো পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এক মাইক্রো ড্রাইভার অশোক কুমার বলেন, একটি রিজার্ভ ভাড়া নিয়ে যাচ্ছি। সড়কটি ভালো এবং যথেষ্ট ফাঁকা তাই এমন চালানো। তবে গতি মেনে চলা উচিত ছিল আমার। দশমাইল থানার ওসি আব্দুল মালেক বলেন, মহাসড়কে নানা অভিযানের ফলে দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেকটা কমে গেছে। চেষ্টা চলছে আরও কমিয়ে আনার। তবে অভিযানের সফলতার জন্য পথচারী সতর্কতা এবং চালকদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top