সকল মেনু

আইনের শাসন সুসংহত রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত – সংসদে রাষ্ট্রপতি

হটনিউজ ডেস্ক: দেশে আইনের শাসন সুসংহত ও সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বর্তমান সরকার। জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী পলাতক খুনিদের আইনের আওতায় আনার প্রচেষ্টা চলমান আছে। সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি সংসদে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বক্তব্য দেন। তার মূল বক্তব্য সংসদে পঠিত বলেও উত্থাপিত হয়। আর তিনি তার বক্তব্যের সারসংক্ষেপ পাঠ করেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় শতীকালীন অধিবেশন শুরু হয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর্যায়ে আছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন করছে এবং বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে। জঙ্গিবাদ ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে জুলাই-২০১৬ হতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিভাগ ও জেলাপর্যায়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। ফলে, জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং জনগণ জঙ্গিবাদবিরোধী চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। এ সময়ে মাথাপিছু জাতীয় আয় আগের অর্থ-বছর হতে ১৪৫ মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। একই সময় রফতানি আয় ৩৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, চলতি অর্থ-বছরে খাদ্যভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য প্রায় ৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে খোলাবাজারে চাল বিক্রির উদ্দেশ্যে ৬১২ কোটি টাকা এবং ১০ টাকা মূল্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির জন্য ৭২৩ কোটি টাকার খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সমুন্নত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জ্বল রাখতে দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ-প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বাঙালি জাতিকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। একাত্তরের শহীদদের কাছে আমাদের অপরিশোধ্য ঋণ রয়েছে। আসুন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে মত-পথের পার্থক্য ভুলে জাতির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার মধ্য দিয়ে আমরা লাখো শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top