সকল মেনু

সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক : শাসক নয়, সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা দিয়েছিলাম শাসক নয়, সেবক হিসেবে কাজ করব। সেভাবেই কাজ করছি।’

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীন জাতিকে গড়ে তুলতে জাতির পিতা যে সংবিধান দিয়েছিলেন সেখানে সবার সেবা নিশ্চিত করে গিয়েছিলেন। তিনি যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই তাকে হত্যা করা হয়। দেশ যেভাবে এগোনোর কথা ছিল সেভাবে এগোতে পারেনি। স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য ভাতা চালু করেছি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৫ লাখ প্রবীণ ব্যক্তিকে, ১২ লাখ ৬৫ হাজার বিধবাকে ভাতা দিচ্ছি। বছরে ৭৫৯ কোটি টাকা ভাতা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবন্ধী ভাতা দিচ্ছি ৭০০ টাকা করে। ৮ লাখ প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে। তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা ও উপবৃত্তির ব্যবস্থাও করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষের উন্নয়নে ভবঘুরেদের পুনর্বাসন আইন, প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন, বাবা-মাকে ভরণপোষণ আইন, নিউরো ডেভেলপমেন্ট আইন, জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা করা হয়েছে। এছাড়া হিজরা জনগোষ্ঠীকে সমাজে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছি। দারিদ্র্য ও কর্মজীবী মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তা অধিকার থেকে বঞ্চিতদের ভাতা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভাতাভোগীরা যাতে মাসে ১০ কেজি চাল কিনতে পারেন সে বিষয়টি মাথায় রেখেই তাদের ভাতা দেওয়া হয়। আমরা এর বেশি ভাতা দিতে চাই না। কারণ বেশি ভাতা পেলে আর কেউ কাজ করতে চাইবে না।’

এ ছাড়া ৮৬ হাজার ৪০০ এতিমকে মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের সুশীল সমাজ হাইপোথেটিক্যাল চিন্তা করে, প্রাকটিক্যাল চিন্তা করে না। তারা অভিযোগ করে বলে যে টাকা ভাতা দেওয়া হয় তাকে কি সংসার চলে? কিন্তু আমি বলতে চাই, সংসার চালানোর দায়িত্ব সরকারের না। আমাদের দায়িত্ব কেউ যেন অবহেলিত না থাকে, অভুক্ত না থাকে সে ব্যবস্থা করা। মানুষ যাতে কর্মবিমুখ হয়ে না যায় সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি।’

মঙ্গলবার জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, দুস্থদের মাঝে ঋণ বিতরণ এবং শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক ক্ষমতায়নে সমাজসেবা অধিদপ্তর সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ, সামাজিক সুরক্ষা ভাতা ও উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির আবাসন ও ভরণপোষণসহ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন, শিশু সুরক্ষা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নে ৫০টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top