সকল মেনু

৩ দিনের রিমান্ডে জঙ্গি আবু সাঈদ

হটনিউজ ডেস্ক : বগুড়ার নন্দীগ্রামে গ্রেফতার হওয়া জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান আবু সাঈদকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু রায়হান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক নূর-এ আলম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আবু সাঈদ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চর চাঁদপুর গ্রামের শহীদুল্লাহ শেখের ছেলে। তার মায়ের নাম জহুরা খাতুন। সে ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলার মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি। সে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণ মামলারও অন্যতম আসামি।ডিবি পরিদর্শক নূর-এ আলম সিদ্দিকী জানান, আজ শনিবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে আবু সাঈদের ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সন্ধ্যার দিকে আদালত আবু সাঈদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার দিনগত রাতে নন্দীগ্রাম উপজেলার বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক থেকে আবু সাঈদকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। বগুড়ায় জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল আবু সাঈদের। এই পরিকল্পনা থেকে অপারেশনে অংশ নিতে শুক্রবার রাতে সে রাজশাহী থেকে বগুড়া যাচ্ছিল। এসময় তাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলার মামলায় আবু সাঈদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এরপর সে ভারতে পালিয়ে যায়। মধু বিক্রেতার ছদ্মবেশে ভারতে সে জঙ্গি কার্যক্রম চালাতো। ২০১৪ সালে ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনার সঙ্গে আবু সাঈদ জড়িত ছিল। খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণের পর কলকাতা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি আবু সাঈদ ওরফে শ্যামল শেখ ওরফে তালহা শেখকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে। এতে ২০১৫ সালের প্রথম দিকে সাঈদ ভারত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top