সকল মেনু

খুলনায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল কারাগারে

খুলনা প্রতিনিধিঃ নগরীর খালিশপুর মুজগুন্নী পার্কে ঘুরতে আসা এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশ কনস্টেবল মিরাজ উদ্দিন (৩৩) কে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে মহানগর হাকিম মোঃ আমিরুল ইসলাম কারাগারে প্রেরণের এ আদেশ দিয়েছেন। এদিকে ধর্ষিতা গৃহবধূ (২১)’র ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের স্থান নগরীর গল্লামারীস্থ চৌধুরী আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠছে। এদিকে এ ঘটনায় কনস্টেবল মিরাজের পরিবার জানায়, খালিশপুর থানা পুলিশের সাথে একটি অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারনে মিরাজকে ফাঁসানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা থেকে পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে খুলনায় হাসপাতাল পাড়ার মামার বাড়িতে বেড়াতে আসেন এক গৃহবধূ। মঙ্গলবার বিকেলে ওই গৃহবধূ তার স্বামীর বন্ধু সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর গ্রামের মৃত ফেরাজতুল্লাহ গাজীর ছেলে সেলিম হোসেনের সঙ্গে নগরীর মুজগুন্নী পার্কে বেড়াতে যায়। পার্ক থেকে সন্ধ্যার দিকে বের হয়ে ইজিবাইকে ওঠার সময় একটি মোটরসাইকেলে পুলিশ কনস্টেবল মিরাজ উদ্দিন এসে তাদের পথরোধ করে। এরপর মোবাইল ফোনে ওই গৃহবধূ ও সেলিমের ছবি ধারণ করে তার স্বামীর কাছে পাঠানোর ভয় দেখায়। এসময় সেলিমের কাছে থাকা ২২শ’ টাকা কনস্টেবল মিরাজ নিয়ে নেয়। কিন্তু মিরাজ ওই গৃহবধূকে তার মোটরসাইকেলে নিয়ে গল্লামারীর চৌধুরী আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় কালীগঞ্জ আড়পাড়া আঃ জলিলের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল মিরাজ উদ্দিন (৩৩) কে আসামি করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর গৃহবধূর সঙ্গে আসা স্বামীর বন্ধু সেলিম খালিশপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। পুলিশ হোটেল কক্ষে এসে কনস্টেবল মিরাজকে আটক ও গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কনস্টেল মিরাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে মিরাজকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। কনস্টেবল মিরাজ ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
এ ব্যাপারে খালিশপুর থানার ওসি নাসিম খান জানান, মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তকালে জড়িত আরও যদি কারও নাম উঠে আসে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, কনস্টেবল মিরাজকে বুধবার খুলনা মহানগর হাকিম আমিরুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top