সকল মেনু

খুলনায় যুবলীগ নেতাকে নদীতে নিক্ষেপ, গ্রেফতার ৭

খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনা থেকে কৌশলে অপহরণ করে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদীতে ফেলে দেয়ার পর নিখোঁজ খুলনার যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান সবুজের (৩০) তিন দিনেও সন্ধান মেলেনি।এ ঘটনায় একটি ট্রলারসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ অপহরণ ও সবুজকে পানিতে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন ওহিদুজ্জামান হাসান ওরফে পরশ (২১), হাফিজুল ইসলাম (১৯), মো. মাহামুদ (১৯), মো. হাসিব হাওলাদার (১৯), হাছিব হাওলাদার (১৮), মো. হাফিজুর রহমান (১৯) ও সাইফুল ইসলাম (২০)।পুলিশ জানায়, গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে একটি ট্রলারে করে সন্ন্যাসী এলাকায় যাবার সময় কামরুজ্জামান সবুজ ও তার বন্ধু খুলনা কেডিএ’র সার্ভেয়ার সামছুল আরেফিন রনিকে (৩৪) মারপিট করে নদীতে ফেলে দেয় অপহরণকারীরা।

ওই সময় রনির ডাক-চিৎকারে মোড়েলগঞ্জের গাবতলা এলাকার ট্রলার চালকরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু নদীতে ডুবে যায় সবুজ।এর আগে সকালে তাদেরকে একটি ৫তলা ভবনের ডিজাইন করার কথা বলে খুলনা থেকে গাড়িতে করে মোড়েলগঞ্জে নেয়া হয়। সবুজের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে টহল শুরু করে।কিন্তু সোমবার পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি। সবুজ খুলনা মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা এবং দু’জনেরই বাড়ি খুলনার শেখপাড়া এলাকায়।সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় নিখোঁজ শেখপাড়া পুরাতন মসজিদ রোডের মৃত নুুরুজ্জামানের ছেলে কামরুজ্জামান সবুজের সন্ধান পাওয়া যায়নি।পালিয়ে ফিরে আসা খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সার্ভেয়ার শামছুল আরেফিন রনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।এ ঘটনায় রনির মামা আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা করেছেন। তবে কি কারণে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা হয়েছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top