সকল মেনু

পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যশোরে ডাকাতির মামলা

যশোর প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরের আঠন্ডা গ্রামের বজলুর রহমানের বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ছয় জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) বজলুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আকরাম হোসেন অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। আদালতের পেশকার আবু সাঈদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আসামিরা হলেন, কেশবপুর থানার এসআই মুজাহিদ, এএসআই জাহাঙ্গীর, এএসআই আশরাফুল, কনস্টেবল সালাহউদ্দিন, গাড়িচালক মজনু ও পুলিশের সোর্স বাগদা গ্রামের মৃত করিম মোড়লের ছেলে ফজলুর রহমান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বজলুর রহমানের চার ছেলে। তিন ছেলে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান এবং বড় ছেলে পুরাতন মোটরসাইকেল কেনাবেচার ব্যবসা করেন। চার ছেলের রোজগার ও কৃষি জমির উৎপাদিত ফসল দিয়ে সংসার বেশ স্বচ্ছন্দে চলে। গত ৫ নভেম্বর দিনগত রাতে আসামিরা বজলুর রহমানের বাড়িতে এসে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়ির লোকদের ডেকে তোলে। বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক আছে জানিয়ে আসামিরা ঘর তল্লাশি করতে চায় বলে জানায়। এসময় আসামিরা বাড়ির সব আলো নিভিয়ে দিতে বললে বজলুর রহমানের ছেলেমেয়েদের সন্দেহ হয়। এরপর আসামিরা ঘরে ঢুকতে গেলে বজলুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা বেগম তাদের বাধা দেন। তখন আসামিরা তাকে চুল ধরে মাটিতে ফেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। এরপর আসামিরা বজলুর রহমানের বড় ছেলে জাহাঙ্গীরের ঘরে ঢুকে তল্লাশি করে। এসময় আসামিরা বাড়ির চার বৌয়ের ছয় ভরি সোনার গহনা, মোটরসাইকেল বিক্রির দুই লাখ ১০ টাকা ও বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে যায়।

বাদী আয়েশা বেগমের অভিযোগ, এসআই মুজাহিদ বাড়ির লোকজনদের শাসিয়ে যান, এ নিয়ে ঝামেলা করলে ধরে নিয়ে মামলা ও ক্রসফায়ার করা হবে। পরদিন সকলে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। অবশেষে আয়েশা বেগমের আদালতে তিনি এ মামলা করেন।

এ বিষয়ে কেশবপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন  বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে পুলিশ ওই বাড়িতে যায়। ওই বাড়ির ছেলে জাহাঙ্গীর একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। কিন্তু সেদিন তার জ্বর হওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মামলার কোনও গ্রাউন্ড নেই। একটি মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এছাড়া যেসব পুলিশ অফিসারকে আসামি করা হয়েছে, তাদের মতো সৎ অফিসার খুব কমই আছে থানায়।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top