সকল মেনু

বাংলাদেশ পা দেয়নি মিয়ানমারের উস্কানির ফাঁদে

হটনিউজ ডেস্ক: মিয়ানমার প্রথম থেকেই বিভিন্নভাবে উস্কানি দিচ্ছিল। কিন্তু তাদের সেই উস্কানির ফাঁদে পা দেয়নি বাংলাদেশ। তাদের উস্কানিতে পা দিলে রোহিঙ্গা ইস্যুটি ভিন্নদিকে মোড় নিতো। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস হলে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ে এক পরিচিতিমূলক সেমিনারে বক্তাদের আলোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল মনসুর আহমদ, সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ও মনজুরুল আহসান বুলবুল, আর্মড ফোর্স ডিভিশনের (গোয়েন্দা পরিদফতর) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনিরুল ইসলাম আকন্দ, নৌ বাহিনীর কমোডর এম সোহায়েলসহ বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তারা।

বক্তারা বলেন, মিয়ানমার প্রথম থেকেই নানাভাবে উস্কানি দিচ্ছিল। কিন্তু তাদের সেই উস্কানির ফাঁদে পা দেয়নি বাংলাদেশ। তাদের উস্কানিতে পা দিলে রোহিঙ্গা ইস্যুটি ভিন্নদিকে মোড় নিতো।

তারা বলেন, রাখাইনে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ যা করছে, সেটা হচ্ছে জেনোসাইড। কিন্তু বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম এটাকে লিখছে এথনিক ক্লিনজিং। এথনিক ক্লিনজিংয়ের জন্য বিচার করা যায় না। মিয়ানমার যা করছে- তা হচ্ছে জেনোসাইড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যারা করেছিল তাদের বিচার হয়েছে। বসনিয়া, কসোভো ও রুয়ান্ডায় যারা করেছিল তাদের বিচার হয়েছে। মিয়ানমার যা করছে তারও বিচার হবে।

সভায় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর চেইন অব কমান্ড, বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, ইউনিট, ঘাঁটি ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়। এছাড়া, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা, দেশ গঠন ও সামগ্রিক উন্নয়নে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা ও শান্তিরক্ষা মিশনে বাহিনীর আধুনিকায়ন নিয়ে নানা তথ্য তুলে ধরা হয়। এসব তথ্য তুলে ধরেন সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা পরিদফতরের লে. কর্নেল আবু রুবেল মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, নৌবাহিনীর কামান্ডার একরামুল হোসেন ও বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার তানভীর রহমান।

এছাড়া সেনানিবাস এলাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, প্রবেশ ও চলাচলের ক্ষেত্রে বেশকিছু নির্দেশনা ও তথ্য তুলে ধরেন লে. কর্নেল আইনুল মোর্শেদ খান।

সভায় সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নানা বিড়ম্বনার কথা উঠে আসে অলোচনায়। তবে সহজ ও মিডিয়াবান্ধব প্রচারণার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগের পরামর্শ দেন বক্তারা। পাশাপাশি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিধি বাড়ানো এবং সেনানিবাসের বাইরে এর কার্যালয় স্থাপনের পরামর্শ দেন বক্তারা।

আইএসপিআর-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশিদুল হাসান বলেন, ‘আইএসপিআর এর পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। শুধু ঢাকা নয় এর বাইরেও কয়েকটি কার্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে সশস্ত্র বাহিনীর সংবাদ সংগ্রহ সাংবাদিকদের জন্য সহজ হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top