সকল মেনু

একজন শামীম হক: আজ জন্মদিন

 আফিফা জামান অাইভী, হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: জীবন থাকলে জীবনের অবসান আছে। এটা অনিবার্য। তবে বেশীর ভাগ জীবন শেষ হয় একজীবনে ,আবার কেউ কেউ মরেও বেচেঁ থাকেন,বহু জীবন ধরে। সে কারনেই বাংলার ছেলে বিক্রমপুরে জন্ম নেয়া জগৎখ্যাত সন্তান দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের মৃত্যুতে কবি গুরু লিখেছিলেন‘এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ,জীবনের শেষে তাই করে গেলে দান।’ রাজা রাম মোহন রায় যে যুগে সমাজকর্ম শুরু করেছিলেন,সে যুগে ভারতে বহু লোক নিজস্ব ব্যাংকের মালিক ছিলেন। আজ সমাজ কর্ম দিয়ে রাম মোহন রায় বেচেঁ আছেন,ব্যাংকের মালিকরা নেই। এটা হচ্ছে সমাজ কর্মের ধর্ম। সমাজ কর্ম-রাজনীতি মানুষকে বাচিঁয়ে রাখে মুত্যুর পরও। যদিও এ কাজটি সকলকে দিয়ে হয় না,সকলে পারেন না। আগাধ বিত্ত থাকলেও অনেকের মনে সায় দেয় না,নিজের টাকা খরচ করে,বিলিয়ে দিয়ে অপরের উপকার করতে।
ফরিদপুরের সন্তান শামীম হক। দেশ বিদেশের অনেকেই চিনেন তাকে । নানা জনে নানা ভাবে চিনেন । কারো বড় ভাই ,কারো কাছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ,কারো কাছে সর্ব ইউরোপ আওয়ামলীগের নেতা। কারো কাছে বঙ্গবন্ধর রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দৃড় আস্থাশীল একজন রাজনৈতিক নেতা। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছিলেন দলের মহা দুর্দিনে,পচাত্তর সালের পরে। সক্রিয় কর্মী ছিলেন,নেতা ছিলেন। ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন,যখন বৃহত্তহর ফরিদপুর নিয়ে এক জেলা ছিলো। তারপর অন্কে দুর্দিন-দুর্বিপাক। দেশ ছাড়তে হয়,জিয়ার আমলে মামলায় জর্জরিত হয়ে। ইউরোপে গিয়েও ছাড়তে পারেননি রাজনীতি। হল্যান্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি থেকে এখন তিনি সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। মাঝে ব্যবসায়ী হয়েছেন। নিজের অর্থ খরচ করে রাজনীতি করেন।
রাজনীতির পরিচয়ের উর্দ্ধে শামীম হকের আরেকটি বড় পরিচয় আছে তিনি নিজেকে গড়ে তুলেছেন নীরেট একজন সমাজ সেবক হিসেবে। তাঁর অনেক পরিচয় ছাপিয়ে এটাই এখন অনেক বড়। ফরিদপুর শহরের অদূরে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘হল্যান্ড চিল্ডেন হাউস’। বাংলাদেশের এক মাত্র অসম্প্রদায়িক এতিম খানা। মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান সকল জাতির অনাথের আবাস্থল এখানে। অসাম্প্রদায়িক এ এতিম খানাটি চালিত হয় শামীম হকের নিজের আয়ের অর্থে। শত শত এতিম অনাথের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি আছে বাস্তব জীবনমূখী শিক্ষা।
কেবল এখানেই সীমাদ্ধ নয় তারঁ সমাজকর্ম। প্রতি বছর বড় আয়োজন থাকে প্লাস্টিক সার্জারীর। ঠোঁট ফাঠা,তালু কাাঁটা ,নাফ ফাটা রোগীদের অপারেশন করান,ক্যাম্প করেন। চিকিৎসক আনেন ইউরোপ থেকে। খরচ করেন নিজে। অর্ধ মাস ধরে চলে এ আয়্জোন। রোগী আসে দেশের নানা প্রান্ত থেকে। বিনা মুল্যে চক্ষু চিকিৎসার আরেক আয়োজন করেন তিনি। এ আয়্জোনের নাম দিয়েছেন সর্বংসহা বঙ্গমাতা বেগম মুজিবের নামে‘ ফজিলাতুন নেসা আই ক্যাম্প। বিনা মুল্যে চক্ষু রোগীদের সেবা দেন-অপারেশন করেন।
শামীম হক। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। মনোনয়ন চান না। দলীয় বানিজ্য করেন না। দল ভাঙ্গিয়ে ব্যাবসা করেন না। দলীয় কর্মীদের দেখেন। খোজঁ নেন। ব্যবসার আয়ের অর্থ খরচ করেন দলের স্বার্থে।
ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়ে তারঁ প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা তখোন কারাগারে। কেবল দেশেই নয় ওয়ান ইলেভেনের ¯্রষ্টাদের রক্তচক্ষু তখোন বিদেশেও । সে সময়ে প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে গোটা ইউরোপ তো বটেই বিশ্বব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন শামীম হক। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে বক্তৃতা করেন। সেখানে ভাষন দেন টিউলিপ সিদ্দিকীও। জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন,দাবী তুলে ধরেন। ভিয়েনাতে বিক্ষোভ করেন।
শামীম হকের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু-নেতৃত্বের আদর্শ শেখ হাসিনা। ধর্ম মানব সেবা। চেতনায় অসাম্প্রদায়িকতা। মননে মগজে মুক্তিযুদ্ধ। তিনি এগিয়ে চলছেন- বন্ধু প্রিয় সদা হাস্যজ্জোল-প্রাণ খোলা একজন শামীম হকের আজ জন্ম দিন। তারঁ জন্মদিনে আমাদের শুভেচ্ছা। নিরন্তর ভালোবাসা,শ্রদ্ধা। শামীম হক দীর্ঘায়ু হোন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top