সকল মেনু

জাতিসংঘে ট্রাম্প, সুষমার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেখ হাসিনার

হটনিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘ সদর দফতরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে তিনি জাতিসংঘের সংস্কারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত এক সভায় যোগদান করেন। জাতিসংঘ সদর দফতরে ‘জাতিসংঘের সংস্কার: ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংস্থাটির ৭২তম অধিবেশনে আগত ১৯৩টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা যোগ দেন। এ সভা শেষে ‘যৌন হয়রানি ও অপব্যবহার রোধ’ শীর্ষক এক বৈঠকে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে কথা বলেন রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে। একইদিন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টবগে এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে তার। মিয়ানমার থেকে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ভারতের অপারেশন ইনসানিয়াত নিয়ে সুষমার সঙ্গে কথা হয় শেখ হাসিনার। ‘যৌন হয়রানি ও অপব্যবহার রোধ’ শীর্ষক বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ব্যাপারে পাওয়া দুইটি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা প্রায় সব মিশনেই সবসময়ই ভালো ইমেজ এবং বিশ্বাসযোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে। শুধু একজন অপরাধীকে সামরিক বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

‘জাতিসংঘের সংস্কার: ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক সভায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমলাতন্ত্র ও অব্যবস্থাপনার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতিসংঘ পুরোপুরি সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারেনি।’ জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের এ বিশ্ব সংস্থার বৃহত্তর দক্ষতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা আনয়নে একটি ঘোষণা গ্রহণের প্রচেষ্টাকালে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘোষণায় এখন পর্যন্ত ১২৮টি দেশ স্বাক্ষর করেছে।

সভায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা পুরো ব্যবস্থার প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের দেখভালের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি। আমরা জাতিসংঘের উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, শান্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি। আমরা এমন এক জাতিসংঘ চাই, যেখানে সারা বিশ্বের মানুষের আস্থা থাকবে। আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বাদ দিয়ে ব্যবস্থাপনা হালনাগাদ করতে হবে এবং জাতিসংঘের মূল মিশনকে এগিয়ে নিতে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ সভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: জাতিসংঘ, এপি, ডব্লিউটিওপি নিউজ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top