সকল মেনু

এবার মিয়ানমারে সেনা-প্রশিক্ষণ বন্ধের আহ্বান দেড় শতাধিক ব্রিটিশ এমপি’র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংসতা ও নিপীড়ন বন্ধে উদ্যোগ নিতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির ১৫৭ জন এমপি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বরাবর এক চিঠিতে ব্রিটিশ এমপিরা মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন। মিয়ানমারের গণতন্ত্রের জন্য গঠিত সর্বদলীয় কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও লেবার পার্টির এমপি রুশনারা আলীর নেতৃত্বে পার্লামেন্ট সদস্যরা লিখিত চিঠিতে বলেন, ‘জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন ও রোহিঙ্গা সংগঠনের প্রতিবেদনে ভিত্তিতে আমরা মিয়ানমারের ইতিহাসে জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি প্রত্যক্ষ করছি।’ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চার শতাধিক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মিয়ানমার সরকার স্বীকার করেছে। কিন্তু নির্ভরযোগ্য রোহিঙ্গা সূত্রগুলোর মতে এই সংখ্যা ২ থেকে ৩ হাজার হতে পারে।’

চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুসারে সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সেনারা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করছে, তাদেরকে সারিবদ্ধভাবে শুয়ে থাকতে বাধ্য করার পর মাথার পেছনে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। গলাকেটে হত্যা ও নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঘরে আটকে রেখে তারপর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে। তারা শিশুদেরকেও ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করে হত্যা করছে।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, একই সময়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) রাখাইনের অন্য জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে উত্তেজনা ও সহিংসতা ছড়াচ্ছে। ব্রিটিশ এমপিরা চিঠিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হেইঙ্গকে চাপ প্রয়োগ করতে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যয় বাবদ যুক্তরাজ্য ৩ লাখ ৫ হাজার পাউন্ড খরচ করেছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে যুক্তরাজ্য যুদ্ধ প্রশিক্ষণ প্রদান করে না। তারা মিয়ানমারের সেনাদের গণতন্ত্র, নেতৃত্ব ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়।

গত বছর নভেম্বরে ওই সময়কার ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইক পেনিং জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযানে জড়িত কোনও সেনাকে যুক্তরাজ্য প্রশিক্ষণ দিয়েছে কিনা এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার অবগত নয়। ব্রিটিশদের দেওয়া প্রশিক্ষণে মানবাধিকারের উন্নয়নে কেমন ভূমিকা রেখেছে তাও মূল্যায়ন করা হয়নি। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top