সকল মেনু

আদালতকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাবেন না -স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, রাজনীতিবিদরা মুখ খুললে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। আমাদের দিয়ে বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করাবেন না। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাবেন না।

মন্ত্রী আজ সুপ্রীম কোর্ট বার ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪২ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৭ পালন” উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সিনিয়র এডভোকেট এস. এম. মুনীর-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম, সিনিয়র এডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, সিনিয়র এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, এডভোকেট সানজিদা খানম সহ বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সদস্যবৃন্দ।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে বলেই আজকে সংসদ, সংবিধান ও বিচার ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণই প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক। জনগণকে বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি দাঁড় করালে তার ফল দেশের জন্য কল্যাণকর হবে না। তিনি বলেন, দয়া করে আমাদের ধৈর্য্যরে পরীক্ষা নিবেন না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের রাজনীতিবিদরা অসীম ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়ে আসছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা উচ্চ আদালতকে অনেক সমীহের চোখে দেখি। আগস্টের ১ তারিখ যখন জাতি শোকে মুহ্যমান সেই সময় ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে কি প্রতিক্রিয়া হবে এটা অনেকে বুঝতে পারেন নি।

সাংসদদের অপরিপক্ক বলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এর ভেতরে কোন অশুভ সন্ধি আছে। ৩৫০ জন সংসদ সদস্যকে অপরিপক্ক বলা জাতিকে অপরিপক্ক বলার সামিল।

তিনি বলেন, যতই দিন যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ততই বিকশিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নতুন প্রজন্ম আরও বেশী করে ধারণ করছে। একটি সংগঠিত গোষ্ঠী বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মন্ত্রী আইনজীবিদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিচার বিভাগকে জনকল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে পরিচালিত করতে হবে।

অন্যদিকে, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, একাত্তরের ঘাতকরা তাদের জিঘাংসা চরিতার্থ করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। দীর্ঘ ৩০ বছর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধ্বংস করায় তৎপর ছিল। সেই শক্তিই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছিল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টে শহীদ সকলের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ০১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top