সকল মেনু

চাল আমদানিতে ট্যারিফ কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ

 

 

 

 

 

চাল আমদানিতে আবার ট্যারিফ কমানো হয়েছে। ১০ শতাংশ থেকে আট শতাংশ কমিয়ে দুই শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্যারিফ কমানোর প্রজ্ঞাপন দুই একদিনের মধ্যে জারি হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

বুধবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ট্যারিফ কমানোর ফলে আশেপাশের দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা কম মূল্যে চাল আমদানি করতে পারবেন। এর ফলে বাজারে চালের দামও কমবে বলে তিনি জানান।

চাল আমদানিতে প্রথম দিকে ২৮ শতাংশ ট্যারিফ ছিল। চালের দাম বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ থেকে ১৮ শতাংশ ট্যারিফ কমানো হয় সম্প্রতি।  এরপরেও চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সম্প্রতি বন্যায় চালেল ঘাটতি কমানোর জন্য আবার আট শতাংশ ট্যারিফ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যে কোনো সংকট নেই। ট্যারিফ কমানোর ফলে চালের দাম আরও কমবে। তবে বর্তমানে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই আছে চালের দাম। দেশে কোনো ধরনের হা হুতাশ নেই।’

মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে সরকার ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং পাঁচ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্যে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে আছে। আর আট লাখ মেট্রিক টন চাল দেশে আনার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। চলতি অর্থবছরেই ১৫ লাখ মেট্রিকটন চাল দেশে আসবে।

কামরুল ইসলাম জানান, ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিকটন চাল আসবে। এরমধ্যে ইতোমধ্যে ৫০ লাখ মেট্রিকটন চাল দেশে এসেছে। বাকি চাল এ মাসের মধ্যে দেশে আসবে। আর কম্বোডিয়া থেকে আড়াই লাখ মেট্রিকটন চাল আনা হবে। এটি পারসেস কমিটিতে অনুমোদন হলেই আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই। আমরা বাড়তি সাবধানতার জন্য চাল আমদানি করছি। এটা মনে করার কারণ নেই যে, চাল সংকটের কারণে আমরা চাল আমদানি করছি।

কামরুল বলেন, ‘এক কোটি ৯২ লাখ মেট্রিকটন বোরো চাল সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল আমাদের। কিন্তু এবারে বন্যার কারণে আমরা সেটি করতে পারিনি। আমরা দুই লাখ ৭০ হাজার মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করতে পারবো। কিন্তু প্রায় ১০ লাখ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করতে পারবো না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘চাল সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি নেই যে ১০/১৫ টাকা চালের দাম কমবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বন্যায় যেখানে যেখানে চাল লাগে সেখানেই আমরা বরাদ্দ দিচ্ছি। এ নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো কার্পণ্য নেই।’

মন্ত্রী বলেন, খাদ্য বিতরণ নিয়ে সবধরনের কর্মসূচি চলমান আছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা মূল্যে চাল দেয়া হবে। এই কর্মসূচি তিন মাস চলবে বলে জানান মন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top