সকল মেনু

জনগণকে ঋণগ্রস্ত না রেখে তাদের সঞ্চয় বাড়ানো হবে -এলজিআরডি মন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে দারিদ্র্যের অভিশাপ হতে মুক্ত করা। এ লক্ষ্যে জনগণের সঞ্চয় বাড়ানোর বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। জনগণকে ঋণগ্রস্ত না রেখে তারা যাতে সঞ্চয় বাড়াতে পারে সে লক্ষ্যে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী আজ সচিবালয়স্থ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি)-র পরিচালনা বোর্ডের ৪৭ তম সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন – স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ইকরামুল হক ও এনআইএলজি-এর মহাপরিচালক তপন কুমার কর্মকার সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প ভেবে-চিন্তেই নিয়েছেন। এ প্রকল্প বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূর না হওয়া পর্যন্ত চলবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প থাকবে। এর মূলধন বর্তমানে ৮ হাজার কোটি টাকা হলেও ভবিষ্যতে এ মূলধনের পরিমান ২০ হাজার কোটি টাকা হবে। বর্তমানে ৪০ হাজার সমিতি, আগামী বছর এর সংখ্যা ১ লক্ষে পৌঁছাবে। তিনি এনআইএলজি, বার্ড, আরডিএ-কে এই প্রকল্প নিয়ে গবেষণা করতে বলেন। গবেষণার মাধ্যমে এ প্রকল্পকে আরও জনবান্ধব করার উপায় খুঁজে বের করতে বলেন।

মন্ত্রী এনআইএলজি-র কার্যক্রম আরও গতিশীল করারও নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের প্রায় ৬০ হাজার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছে। যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত করলে এ বিশাল সংখ্যক প্রতিনিধি প্রতিটি অঞ্চলে উন্নয়ন কার্যক্রমে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। মন্ত্রী এসময় জুন ২০১৭ পর্যন্ত মোট ৩৪৩ টি প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে ১৩৯৫ জনকে প্রশিক্ষণের প্রশংসা করে ভবিষ্যতে এর সংখ্যা কয়েক গুণে উন্নীত করার নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রী বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটিকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্যদের গুণগত প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিতে হবে। আর এনআইএলজি-কে এ নেতৃত্ব তৈরি করতে নির্বাচিত প্রতিনিধি, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে ও প্রায়োগিক গবেষণা বাড়াতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top