সকল মেনু

দিয়াজের বোন খুনিদের ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তাকে তথ্য দিলেন

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ‘খুনিদের’ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হুমায়ুন কবিরকে তথ্য দিয়েছেন দিয়াজের বড়বোন অ্যাডভোকেট জোবায়দা সারওয়ার নিপা। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে এএসপি হুমায়ুন কবিরের ডাকে সাড়া দিয়ে জোবায়দা সারওয়ার নিপা সিআইডি কার্যালয়ে যান। সেখানে এএসপি হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে প্রায় দুই ঘন্টা কথা হয়েছে বলে পরে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ‘দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। দিয়াজকে কী কারণে, কারা খুন করতে পারে -এসব বিষয়ে তিনি জানতে চেয়েছেন। আমি সব কিছু উনাকে বিস্তারিত জানিয়েছি। পুনঃময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়েও কথা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে এএসপি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনসহ মামলার সার্বিক বিষয় নিয়ে দিয়াজের বোনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে উনার কাছ থেকে কিছু তথ্য জেনেছি।’

২০ নভেম্বর রাতে চবি ক্যাম্পাস এলাকার নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। ২৩ নভেম্বর পুলিশ জানায়, দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে, এমন আলামত প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি। তখন ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিয়াজের পরিবারসহ চবির শাখা ছাত্রলীগের একটি অংশ। তারা বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনের সঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের কোনও মিল নেই। পরে বিষয়টিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী ছাত্রলীগ নেতা, সহকারী প্রক্টরসহ ১০ জনকে আসামি করে ২৪ নভেম্বর আদালতে মামলা দায়ের ও পুনঃময়নাতদন্তের আবেদন করেন।

১০ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে দিয়াজের লাশ তুলে পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের পর লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

এরপর ১ জানুয়ারি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক দল। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহামুদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম দিয়াজের বাসা পরিদর্শন করেন। পরে তারা প্রথম দফা তদন্তকারী দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ৪ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডির সিনিয়র এএসপি হুমায়ুন কবিরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top