সকল মেনু

প্রমিজ,সামনের বছর থেকে জলাবদ্ধতা দেখবেন না

হটনিউজ ডেস্ক : আগামী বছর থেকে ঢাকায় জলাবদ্ধতা থাকবে না বলে ওয়াদা করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হো‌সেন। আজ বুধবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় ওই ভবনের নিচের জলাবদ্ধতার বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি প্রমিজ করছি, সামনের বছর থেকে আর এসব (জলাবদ্ধতা) দেখবেন না। কিছুদিনের মধ্যেই নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।’

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বর্তমান জলাবদ্ধতা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিটা আমাদের শিক্ষা দিচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি, কোন জায়গাতে আটকা পড়ছি। সে জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’

তিনি বলেন, ‘জরিপ করে দেখেছি, ঢাকার ৪৬টি খালের মধ্যে ১৮টি সংস্কার করতে হবে। এগুলো অবশ্যই করতে হবে।’
‘প্রমিজ করছি, সামনের বছর থেকে জলাবদ্ধতা দেখবেন না’

ভারী বৃষ্টি হলেও যাতে তিন ঘণ্টার মধ্যে পানিনিষ্কাশন হয়, সে ব্যাপারে ওয়াসাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

এর আগে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের ষষ্ঠ অধিবেশন শুরু হয়।

অধিবেশন শেষে বেরিয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রত্যেক জেলায় খাস জমি রয়েছে। আমি ডিসিদের বলেছি, খাস জমি খুঁজে বের করতে। সেসব জমির কোনও একটায় শিশুদের জন্য স্থায়ী বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করা যায় কিনা, এ ব্যাপারে তাদের নির্দেশ দিয়েছি। শহরগুলোতে শিশুদের খেলার জন্য এখন কোনও মাঠ নেই। কিন্তু তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য বিনোদন জরুরি। ডিসিরা আমাকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। তারা আমাকে বলেছেন, খাস জমি বের করে শিশুদের জন্য স্থায়ী বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করা সম্ভব এবং তারা এ লক্ষ্যে কাজ করবেন।’

জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখনও সচিবালয় প্রাঙ্গণে পানি জমে ছিল। আজ বুধবার ভোর রাত থেকে টানা বর্ষণে রাজধানীর রাজপথে কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমর ছাড়িয়েছে; জলজটের সঙ্গে যানজটে নগরজুড়ে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।

প্রসঙ্গত, সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে মাঝারি থেকে টানা ভারি বর্ষণে সারাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর অলিগলি থেকে প্রধান সড়ক সর্বত্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধ সড়কে চলাচলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল প্রায়ই বিকল হয়ে যাচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে স্কুল-কলেজসহ অফিসগামীদের। জনদুর্ভোগের এ অভিন্ন চিত্র রাজধানীর অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করে নগরীর সর্বত্রই বিরাজমান।

টানা বর্ষণের পাশাপাশি রাস্তাঘাট সংস্কার ও খানাখন্দের কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে দ্বিগুণ। বুধবার সকালে সরেজমিনে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা সচিবালয়ের আশপাশের সড়ক, পল্টন এলাকা, শান্তিনগর, মগবাজার, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুরের শেওড়াপাড়া-কাজীপাড়া সড়কে হাঁটু পানি জমে থাকতে দেখা যায়। একই চিত্র উত্তরা, রাজলক্ষ্মী, এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত, বিশ্বরোড, বসুন্ধরা, নতুনবাজার, রামপুরা, বাড্ডা ও মালিবাগ সড়কেও। এ সব সড়কে যাতায়াতকারী পরিবহন ধীরগতিতে চলাচল করছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবার বৃষ্টি কমে যেতে পারে। এদিকে আজ সকাল থেকে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলো থেকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ১৮ জুলাই থেকে এই সংকেত দিয়ে রেখেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩ নম্বরের বদলে এখন শুধু নৌবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top