সকল মেনু

আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার আসন বাড়ছে না : কবিতা খানম

হটনিউজ ডেস্ক : জনসংখ্যা যতই বাড়ুক আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সীমানা পুনঃনির্ধারণে ঢাকার আসন সংখ্যা না বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। তিনি বলেন, সংসদীয় আসন নির্ধারণের আইনে সংশোধন হচ্ছে। জনসংখ্যা বাড়লেও ঢাকায় আসন সংখ্যা বাড়ছে না এটা নিশ্চিত করেই বলতে পারি। তবে ঢাকায় আসন কমবে কিনা- তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আইন সংশোধন করা না গেলে সে ক্ষেত্রেতো ভোটার সংখ্যা আমলে নেওয়া যাচ্ছে না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটার সংখ্যাটা বিবেচনায় নিতে আইন সংশোধন করতে হবে। আইনটি সংশোধিত হবে বলে আমি আশাবাদী। কারণ এ বিষয়ে আমাদের যুক্তি থাকবে।

কমিশন সার্বিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সঙ্গে সংলাপে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। গত ১৬ জুলাই একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করে কমিশন। বর্তমানে ঢাকা জেলায় ২০টি সংসদীয় এলাকা আছে, যার মধ্যে ১৫টিই মহানগরীতে। অষ্টম সংসদে এ সংখ্যা ছিল জেলায় ১৩টি ও মহানগরীতে ৮টি।

এ সময় তিনি জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও)-সহ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিতে সংস্কারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।কবিতা খানম আরো বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ও সীমানা পুনঃনির্ধারণ আইন বাংলায় রূপান্তর করা হবে। আইন সংস্কারে আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবো। নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদেরও মতামত নেবো। কারণ মাঠ পর্যায়ে তারাই আইনের প্রয়োগ করে থাকে।

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে এ কমিশনার বলেন, জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটারসংখ্যা ও আয়তনের বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা জনসংখ্যা বেড়েছে কিন্তু ভোটার সংখ্যা বেশি নাও হতে পারে। যাই-ই হোক, ঢাকায় সংসদীয় আসন সংখ্যা বাড়ছে না এটা মোটমুটি নিশ্চিত। তবে ঢাকার আসন সংখ্যা কমবে কী না তা আলোচনা হয়নি। প্রসঙ্গত: বর্তমানে ঢাকা জেলায় ২০টি সংসদীয় আসন রয়েছে।

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করে সকলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ওই চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে কাজ করছি। আমরা চাই সব দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করুক। সেটাই হবে আমাদের সাফল্য।

কবিতা খানম জানান, রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হবে,সমালোচনা হবে। সমালোচনা হলে তো চ্যালেঞ্জ। আমি মনে করি, আমরা সবার সঙ্গে সফল সংলাপ করতে পারবো। আলোচনাগুলো সবই সফল হবে। আমরা অবশ্যই সবার জন্যে সমান ক্ষেত্র তৈরি করতে পারবো। যেখানে সব দল অংশগ্রহণ করতে পারবে। এটা কমিশনের সাকসেস, এ জন্য কমিশন এগিয়ে যাচ্ছে।

সমালোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই আমরা গ্রহণ করবো। সমালোচনা যদি সমালোচনার জন্যে হয় সেটা নিশ্চয় আমরা সেভাবে দেখব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top