সকল মেনু

এবার জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার

হটনিউজ ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাসে তৃতীয় দিন শেষে অনশন প্রত্যাহার করেছে জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আমির হোসেন আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অনশন প্রত্যাহার করেন। এ সময় উপ-উপাচার্য তাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।

জাবি উপাচার্যের বাসভবন ভাংচুর ও শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগে ৫৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তিন দিন ধরে অনশন চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে তৃতীয় দিনে আজ সোমবার আট শিক্ষার্থী অনশনে অংশ নেন। তাদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।

উপাচার্যের বাসভবন ভাংচুর ও শিক্ষক লাঞ্ছনার ওই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সোমবার ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা। এ মিছিল নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা সূত্রে জানা যায়, শনিবার থেকে অনশন শুরু করেন ইংরেজি বিভাগের ৪২তম আবর্তনের (ব্যাচ) শিক্ষার্থী সরদার জাহিদুল ইসলাম, একই বিভাগের তাহমিনা জাহান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪০তম আবর্তনের পূজা বিশ্বাস। রোববার সকালে অনশনে যোগ দেন আইন ও বিচার বিভাগের ৪৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী খান মুনতাসির আরমান। রোববার রাতে দর্শন বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের ফয়সাল আহমেদ রুদ্র ও সোমবার বিকেল ৪টার দিকে বাংলা বিভাগের ৪২তম আবর্তনের নাঈমুল আলম মিশু, সাংবাদিকতা বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের তাসনুভা তাজিন ইভা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের রাতুল খালিদ অনশনে যোগদান করেন। তাদের মধ্যে জাহিদুল, পূজা, রুদ্র, মিশু ও ইভার নামে মামলা রয়েছে।

অনশনরত তিন শিক্ষার্থী জাহিদুল, তাহমিনা ও পূজা সোমবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এদিকে, উপাচার্যের বাসভবন ভাংচুর ও শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের শাস্তি দাবিতে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ চত্বর থেকে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’-এর ব্যানারে মিছিল করা হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শিক্ষক অংশ নেন। মিছিলটি শহীদ মিনার, প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এই মৌন মিছিলের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্মৃতিসৌধের ছবির অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ। ব্যানারের বাঁপাশে নিচে বঙ্গবন্ধু ও স্মৃতিসৌধের ছবি ছিল। উপাচার্যের বাসভবন ভাংচুর ও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্তে গঠিত ছয় সদস্যের কমিটির সদস্য অধ্যাপক রাশেদা আখতার মৌন মিছিলে অংশ নেন। এ নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ, উপাচার্যের বাসভবন ভাংচুর ও শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগ এনে ২৭ মে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশুলিয়া থানায় ওই মামলা করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top