সকল মেনু

আমরা নির্বাচনী ইসতেহার দিয়ে ভুলে যাই না : প্রধানমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা নির্বাচনী ইসতেহার দিয়ে ভুলে যাই না। বরং আরও কিভাবে বেশি উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে আমরা চিন্তা করি। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে যে উন্নয়নে ধারা শুরু করেছি তা ধরে রাখতে পেরেছি। জনগণ সুফল পেয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও বিভাগগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার হিসেবে আমরা দেশটাকে কীভাবে উন্নত করব, সে বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে। সংসদ সদস্য হিসেবে আমরা যখন নির্বাচিত হয়ে আসি তখন প্রত্যেকেই কিন্তু সংসদের কাছে দায়বদ্ধ। সংসদ সদস্যরা দায়বদ্ধ জনগণের কাছে। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। কাজেই জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় আমাদের। প্রতি ৫ বছর পর যখনই নির্বাচন হবে আমরা জনগণের কাছেই যাবো। তাদের কাছে নির্বাচনী ইসতেহারের কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছি এবং আগামী ৫ বছর কী করবো সেই জবাবদিহি করতে হয়।’

এবারের বিশাল বাজেটের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এ বাজেট বাস্তবায়ন করব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের মূল লক্ষ্য আয় বৈষম্য ও ধনী-দরিদ্রের মধ্যকার বৈষম্য দূর করা। আমরা দেশের প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।’


শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৮ সালে আমরা বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করলাম। বিএনপি তখন বিরোধী দল। সংসদে বিএনপি নেত্রী ও তাদের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো-‘বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না, তা হলে বিদেশ থেকে সাহায্য পাবো না।’ আমার তখন আর সহ্য হলো না। আমি শুধু দাঁড়িয়ে বললাম, তার মানে বিদেশ থেকে সারাজীবন আমরা ভিক্ষা করে খাবো? ভিক্ষার হাত বাড়িয়ে থাকতে হবে আমাদের? এটা আমাদের নীতি না। আমাদের নীতি আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো, ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে থাকব না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একুশ বছর পর অনেক চড়াই-উড়াই পেরিয়ে, আন্দোলন-সংগ্রাম ও জেল-জুলুমের অত্যাচার সহ্য করে ১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করলাম। আমাদের ঘোষণাই ছিল— আমরা জনগণের সেবক। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের একটি অর্থনৈতিক নীতিমালা ছিল। তৃণমূলের ক্ষুধার্ত ও দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য যা যা দরকার সেই পরিকল্পনা নিয়েই আমরা কাজ করি।’

১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরবর্তী সময়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের জীবন থেকে ২১টি বছর চলে গিয়েছিল। একের পর এক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল আর সামরিক শাসন দেখেছি। সামরিক শক্তি দিয়ে যারা দেশ শাসন করে আর যাই হোক বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের দিকে তাদের দৃষ্টি ছিল না। কীভাবে তাদের কাছে ক্ষমতা থাকবে, আয়েশি জীবনযাপন করবে, সম্পদের পাহাড় গড়বে এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে পারবে সেইসব দিকেই মনোযোগ ছিল তাদের। কারণ ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে পারলেই সম্পদের পাহাড় গড়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করা যায়। সেজন্য তারা দুর্নীতি এবং নানান অপকর্মের সুযোগ তৈরি করেছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট পরবর্তী ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছি আমরা। কিন্তু দুর্ভাগ্য ২০০১ সালে নির্বাচনে আমরা ফিরে আসতে পারিনি। সেই ফিরে না আসার পেছনেও কারণ ছিল। সেটা হলো দেশের সম্পদ গ্যাস বিক্রির জন্য চাপ। সম্পদের মালিক বাংলাদেশ, বিক্রি করবে আমেরিকা, আর কিনবে ভারত। তখন আমার একটাই কথা ছিল, এটা বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ। আগে মানুষের চাহিদা পূরণ হবে, ৫০ বছরের মজুদ থাকবে। এর অতিরিক্ত যদি হয় তাহলে আমরা বিক্রি করতে রাজি। তবে তার আগে জরিপ করে দেখতে হবে সেই পরিমাণ গ্যাস আছে কিনা। শুধু ক্ষমতার লোভে মুচলেকা দিয়ে আসবো, এই রাজনীতি আমি শিখিনি। এই রাজনীতি আমি করি না। ফল হলো আমরা নির্বাচনে ভোট বেশি পেয়েছিলাম, জনগণের সমর্থনও আমরাই বেশি পেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার গঠন করতে পারিনি। তখন অনেক অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।’

সরকারপ্রধান বলেন, এখন আমরা বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল। সবাই আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে চলছে।

তিনি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমাদের দেশ ও জাতির উন্নয়নে অর্থনৈতিক নীতিমালাকে ১০ বছর পরপর আরও আধুনিক করে প্রণয়ন করতে হবে।
আমরা নির্বাচনী ইসতেহার দিয়ে ভুলে যাই না : প্রধানমন্ত্রী প্রিন্ট ঢাকা, ০৬ জুলাই, এবিনিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা নির্বাচনী ইসতেহার দিয়ে ভুলে যাই না। বরং আরও কিভাবে বেশি উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে আমরা চিন্তা করি। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে যে উন্নয়নে ধারা শুরু করেছি তা ধরে রাখতে পেরেছি। জনগণ সুফল পেয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও বিভাগগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার হিসেবে আমরা দেশটাকে কীভাবে উন্নত করব, সে বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে। সংসদ সদস্য হিসেবে আমরা যখন নির্বাচিত হয়ে আসি তখন প্রত্যেকেই কিন্তু সংসদের কাছে দায়বদ্ধ। সংসদ সদস্যরা দায়বদ্ধ জনগণের কাছে। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। কাজেই জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় আমাদের। প্রতি ৫ বছর পর যখনই নির্বাচন হবে আমরা জনগণের কাছেই যাবো। তাদের কাছে নির্বাচনী ইসতেহারের কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছি এবং আগামী ৫ বছর কী করবো সেই জবাবদিহি করতে হয়।’ এবারের বিশাল বাজেটের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এ বাজেট বাস্তবায়ন করব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের মূল লক্ষ্য আয় বৈষম্য ও ধনী-দরিদ্রের মধ্যকার বৈষম্য দূর করা। আমরা দেশের প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৮ সালে আমরা বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করলাম। বিএনপি তখন বিরোধী দল। সংসদে বিএনপি নেত্রী ও তাদের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো-‘বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না, তা হলে বিদেশ থেকে সাহায্য পাবো না।’ আমার তখন আর সহ্য হলো না। আমি শুধু দাঁড়িয়ে বললাম, তার মানে বিদেশ থেকে সারাজীবন আমরা ভিক্ষা করে খাবো? ভিক্ষার হাত বাড়িয়ে থাকতে হবে আমাদের? এটা আমাদের নীতি না। আমাদের নীতি আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো, ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে থাকব না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একুশ বছর পর অনেক চড়াই-উড়াই পেরিয়ে, আন্দোলন-সংগ্রাম ও জেল-জুলুমের অত্যাচার সহ্য করে ১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করলাম। আমাদের ঘোষণাই ছিল— আমরা জনগণের সেবক। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের একটি অর্থনৈতিক নীতিমালা ছিল। তৃণমূলের ক্ষুধার্ত ও দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য যা যা দরকার সেই পরিকল্পনা নিয়েই আমরা কাজ করি।’ ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরবর্তী সময়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের জীবন থেকে ২১টি বছর চলে গিয়েছিল। একের পর এক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল আর সামরিক শাসন দেখেছি। সামরিক শক্তি দিয়ে যারা দেশ শাসন করে আর যাই হোক বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের দিকে তাদের দৃষ্টি ছিল না। কীভাবে তাদের কাছে ক্ষমতা থাকবে, আয়েশি জীবনযাপন করবে, সম্পদের পাহাড় গড়বে এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে পারবে সেইসব দিকেই মনোযোগ ছিল তাদের। কারণ ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে পারলেই সম্পদের পাহাড় গড়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করা যায়। সেজন্য তারা দুর্নীতি এবং নানান অপকর্মের সুযোগ তৈরি করেছিল।’ শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট পরবর্তী ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছি আমরা। কিন্তু দুর্ভাগ্য ২০০১ সালে নির্বাচনে আমরা ফিরে আসতে পারিনি। সেই ফিরে না আসার পেছনেও কারণ ছিল। সেটা হলো দেশের সম্পদ গ্যাস বিক্রির জন্য চাপ। সম্পদের মালিক বাংলাদেশ, বিক্রি করবে আমেরিকা, আর কিনবে ভারত। তখন আমার একটাই কথা ছিল, এটা বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ। আগে মানুষের চাহিদা পূরণ হবে, ৫০ বছরের মজুদ থাকবে। এর অতিরিক্ত যদি হয় তাহলে আমরা বিক্রি করতে রাজি। তবে তার আগে জরিপ করে দেখতে হবে সেই পরিমাণ গ্যাস আছে কিনা। শুধু ক্ষমতার লোভে মুচলেকা দিয়ে আসবো, এই রাজনীতি আমি শিখিনি। এই রাজনীতি আমি করি না। ফল হলো আমরা নির্বাচনে ভোট বেশি পেয়েছিলাম, জনগণের সমর্থনও আমরাই বেশি পেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার গঠন করতে পারিনি। তখন অনেক অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।’  সরকারপ্রধান বলেন, এখন আমরা বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল। সবাই আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে চলছে। তিনি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমাদের দেশ ও জাতির উন্নয়নে অর্থনৈতিক নীতিমালাকে ১০ বছর পরপর আরও আধুনিক করে প্রণয়ন করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top