হটনিউজ ডেস্ক : এবি ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সিটিসেলের এমডি মেহবুব চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বনানী থানায় দায়ের করা দুদকের এ মামলায় আজ শনিবার বিকেলে রাজধানী থেকে মেহবুব চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক আব্দুস সালামের নেতৃত্বে একটি দল এই গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এম মোরশেদ খানের প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড (পিবিটিএল) অবৈধভাবে এবং অসৎ উদ্দেশে এবি ব্যাংকের চারটি বোর্ডসভায় জামানত ছাড়াই ব্যাংক গ্যারান্টি পায়। এর সঙ্গে এবি ব্যাংকের কর্মকর্তারাও জড়িত। ওই গ্যারান্টি ব্যবহার করে পিবিটিএল আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়ক জামানত দেখিয়ে ঋণ নেয়।
পরবর্তীতে এটা প্রমাণিত হয় যে, এম মোরশেদ খান অন্যায়ভাবে আর্থিক লাভের জন্য প্রতারণা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙের মাধ্যমে প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যাংক গ্যারান্টির আবেদন করলেও, তা কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই করা হয়নি।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, দুদকের তদন্তে এবি ব্যাংকের মোট ৩৩০ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৩৬৩ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- পিবিটিএল’র ভাইস চেয়ারম্যান আসগর করিম, পরিচালক নাছরিন খান, এবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইজার আহমেদ চৌধুরী, এম ফজলুর রহমান, শামীম আহম্মেদ চৌধুরী, মসিউর রহমান চৌধুরী, ব্যাংকটির ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা সালমা আক্তার, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মহাদেব সরকার সুমন, এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার সৈয়দ ফরহাদ আলম, আরশাদ মাহমুদ খান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্যাংকটির সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন বিভাগ) শাহানুর পারভীন চৌধুরী, এভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক জার ই এলাহী খান ও রিলেশনশিপ অফিসার মো. কামারুজ্জামান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।