সকল মেনু

বৈরী আবহাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে বহির্নোঙ্গরে ডুবেছে ক্লিংকারবাহী ২ লাইটার জাহাজ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বৈরী আবহাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে সিমেন্টের ক্লিঙ্কারবাহী ২টি জাহাজ ডুবে গেছে। আজ সোমবার দুপরের দিকে সোমবার দুপুরে ‘হাজী কায়েস’ ও ‘অলিম্পিক-২’ নামের জাহাজ দুটি ডুবে যায়। তবে লাইটার দুটির নাবিক ও ক্রুরা সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে দুই জাহাজের ২৮ জন নাবিককে। এছাড়া প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে পতেঙ্গা বেড়িবাঁধে আছড়ে পড়েছে ‘এমভি অনন্যা-২’ নামের আরেকটি লাইটার।

আজ সোমবার সকাল সোয়া ১১টায় জালিয়াপাড়া তীরবর্তী গভীর সমুদ্রে ‘হাজী কায়েস’ এবং বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভাটিয়ারি উপকূলের দিকে গভীর সমুদ্রে ‘অলিম্পিক-টু’ নামের জাহাজ দুইটি ডুবে যায় বলে চট্টগ্রাম বন্দর ও লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম জানান, ‘হাজী কায়েস’ নামের জাহাজটি বহির্নোঙ্গর থেকে এক হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ক্লিংকার নিয়ে তীরের দিকে আসার পথে সাগরে ডুবে যায়।

এ লাইটারেজটির মালিক মদিনা গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে ভাটিয়ারি তীরবর্তী গভীর সমুদ্রে বড় জাহাজ থেকে ক্লিংকার বোঝাই করার সময় ‘অলিম্পিক-টু’ নামের জাহাজটি ডুবে যায় বলে লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নবী আলম জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড ঢেউয়ে জাহাজটি কাত হয়ে ডুবতে শুরু করে। পরে এটি তীরের দিকে আসতে চাইলেও ডুবে যায়। জাহাজটিতে প্রায় এক হাজার ২০০ মেট্রিক টনের মতো ক্লিংকার ছিল।’

এই জাহাজটির মালিক অলিম্পিক সিমেন্ট লিমিটেড বলে জানান তিনি।

এদিকে, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে আধা কিলোমিটার দূরে পাথরের বাঁধের ওপর আছড়ে পড়েছে লাইটার জাহাজ ‘এমভি অনন্যা-২’।

এ প্রসঙ্গে খোয়াজ খিজির স্পিড বোট সার্ভিসের স্পিডবোট চালক মেজবাহ উদ্দিন কালু বলেন, ‘অনন্যা-২’ জাহাজটি আধা কিলোমিটার উত্তরে ছিল। সকাল ১০টার দিকে এটি রশি ছিঁড়ে তীরে এসে পাথরের বাঁধের সঙ্গে ধাক্কা খায়। জাহাজে ১৪ জন নাবিক ছিল। তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে আমরা রশি দিয়ে তাদের নিরাপদে তীরে নিয়ে এসেছি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top