সকল মেনু

টেরেজা মে নতুন সরকার গঠনে রানির অনুমতি পেলেন

হটনিউজ ডেস্ক : যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হওয়ার পর ডেমক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টিকে (ডিইউপি) সঙ্গে নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’রকনজারভেটিভ পার্টি। স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে বাকিংহ্যাম প্যালেসে রানি এলিজাবেথের কাছ থেকে সরকার গড়ার অনুমতি পাওয়ার পর এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তেরেসা মে।

অনুমতি চাইতে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে তেরেসা মে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাকিংহ্যাম প্যালেসে যান। সেখানে ১৫ মিনিট সময় কাটানোর পর প্রাসাদ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তারা। এরপর দুপুর ১টার কিছুক্ষণ পর এক বিবৃতিতে মে বলেন, এই মাত্র আমি রানির কাছে অনুমতি চেয়েছি এবং আমি এখন একটি সরকার গঠন করতে যাচ্ছি, এই সরকার সন্ধিক্ষণে আমাদের দেশকে নিশ্চয়তা দিতে পারবে এবং ব্রিটেনকে সামনের দিকে নেতৃত্ব দেবে।

বিবৃতিতে তেরেসা জানান, তার নতুন সরকার আগামী ১০ দিনের মধ্যে জটিল ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু করবে এবং যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে আনার মাধ্যমে ব্রিটিশ জনগণের ইচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটাবে।

টেরেজা মে বলেছেন, উত্তর আয়ারল্যান্ডের দল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি)সমর্থন নিয়ে তিনি সরকার গঠন করতে চান।

কনজারভেটিভ পার্টিকে সরকার গঠনে সমর্থন দেয়ার বিনিময়ে ডিইউপি কি পাবে তা অবশ্য পরিস্কার নয়।

টেরেজা মে জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিটের আলোচনা দশ দিনের মধ্যে শুরু হবে।

বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক বলছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টেরেজা মের অবস্থান হবে খুবই দুর্বল এবং তিনি হয়তো বেশিদিন ক্ষমতায় টিকতেও পারবেন না।

বৃহস্পতিবারের সাধারণ নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনের ফলাফলে কনজারভেটিভ পার্টি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ঝুলন্ত সংসদ হতে চলেছে।

টেরেজা মে হঠাৎ করে সাধারণ নির্বাচন ডাকার আগে সংসদে দলের যত আসন ছিল এই নির্বাচনে আসন সংখ্যা তার চেয়েও কমেছে এবং মিসেস মে-কে তার সিদ্ধান্তের জন্য লজ্জায় পড়তে হয়েছে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী টোরিরা (কনজারভেটিভ) ৩১৮টি আসন পাচ্ছে, লেবার পার্টি ২৬১ এবং এসএনপি ৩৫ আসন।

লেবার নেতা জেরেমি করবিন মিসেস মে-কে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে মিসেস মে বলেছেন দেশে স্থিতিশীলতার প্রয়োজন এবং তার দল সেই স্থিতিশীলতা “নিশ্চিত” করবে।

লেবারের ঝুলিতে যোগ হয়েছে ২৯টি নতুন আসে এবং কনজারভেটিভ ১৩টি আসন হারিয়েছে।

নিকোলা স্টারজেনের স্কটিশ ন্যাশানালিস্ট পার্টি, এসএনপি, খুবই খারাপ ফল করেছে। তারা ২২টি আসন হারিয়েছে। তাদের আসনগুলো গেছে টোরি, লেবার এবং লিবারেল ডেমোক্রাটদের কাছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ভোটের ৪২শতাংশ পেয়েছে কনজারভেটিভরা, লেবার ৪০ শতাংশ, লিবারেল ডেমোক্রাট ৭ শাতংশ এবং গ্রিন পার্টি পেয়েছে ২ শতাংশ ভোট।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ভোট দিয়েছে ৬৮.৭ শতাংশ ভোটার- ২০১৫র তুলনায় এই হার শতকরা ২ ভাগ বেশি। তবে দেশের অনেক জায়গায় দেখা গেছে রাজনীতি আবর্তিত হয়েছে শুধু বড় দুটি দলকে কেন্দ্র করে। কনজারভেটিভ আর লেবার যত ভোট পেয়েছে, ১৯৯০এর পর শুধু দুটো দলেরএত ভোট পাওয়ার এটা রেকর্ড।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top