নারায়ণগঞ্জ থেকে ,মেহেদি হাসান : নারায়ণগঞ্জের লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত দাবি করেছেন, স্কুল থেকে বিতাড়িত করতেই তাঁর বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্র। আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবি জানায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে শ্যামল কান্তি বলেন, গত বছরের ১৩ মে’র আগে থেকে ষড়যন্ত্র চলছিল আমাকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করতে। জীবন দিয়ে স্কুল গড়েছি এটাই আমার অপরাধ। আমি ভক্ত অতি শক্ত এটাই পছন্দ করে নাই। এই শিক্ষক বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্রের একটি মাত্র কারণ আমি হিন্দু। হিন্দুকে বিতাড়িত করতেই এই কারসাজি। সারাক্ষণ মেন্টাল টর্চার (মানসিক নির্যাতন) করা হচ্ছে। পয়লা এপ্রিল থেকে যে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, তা কার নির্দেশে তোলা হয়েছে? আমার সংসার ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। কোথায় যাব, কী করব—জানি না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এ দেশের নাগরিক। সংখ্যালঘু কথাটি কেন আসবে?’

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মোর্শেদা বেগম। সম্প্রতি এ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল শ্যামলকান্তিকে। এরপর তিনি জামিনে মুক্তি পান। আদালত আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত তাঁর অন্তর্র্বতীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে। উপস্থিত ছিলেন মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায়।