সকল মেনু

প্রধানমন্ত্রীকে সৌদি আরবে উষ্ণ অভ্যর্থনা

হটনিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সৌদি শুরা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ ফয়সাল বিন আবু সাদ এবং সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ তাকে অভ্যর্থনা জানান (ছবি- ফোকাস বাংলা)প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ পৌঁছানোর পর তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।

সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদের আমন্ত্রণে আরব ইসলামিক- আমেরিকান (এআইএ) সম্মেলনে যোগ দিতে চার দিনের সরকারি সফরে শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ পৌঁছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি স্থানীয় (সোদি) সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিটে বাদশাহ খালিদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। সৌদি শুরাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ ফয়সাল বিন আবু সাদ এবং সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। পরে মোটর শোভযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে রিয়াদের মোভেনপিক হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সৌদি আরব সফরকালে তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন। সফরকালে শেখ হাসিনা মক্কায় হারাম শরীফে পবিত্র ওমরা পালন করবেন এবং মদিনায় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। আরব ইসলামিক-আমেরিকান (এআইএ) সম্মেলন আজ রবিবার বিকালে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বাদশাহ আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ৫৬টি আরব ও মুসলিম দেশের নেতারা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। ‘জয় আমাদেরই হবে’ এই স্লোগান নিয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জঙ্গিদের অর্থায়ন খুঁজে বের করার বিষয়ে সম্মেলনে আলোচিত হবে। শেখ হাসিনা গ্লোবাল সেন্টার ফর কমব্যাটিং এক্সট্রিমিস্ট থট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন। তিনি সৌদি বাদশার আমন্ত্রণে ভোজসভায় যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের লক্ষ্যে ২২মে সকালে বিমানে করে মদিনায় যাবেন। একই দিন বিকালে তিনি জেদ্দার উদ্দেশ্যে মদিনা ত্যাগ করবেন। বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর হারাম শরীফে পবিত্র ওমরা পালনের জন্য মক্কায় যাবেন। ২৪মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা এই সম্মেলনে অনেকগুলো প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। সম্মেলনের মূল বিষয় বৈশ্বিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাববিলায় নতুন অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, সহনশীলতা এবং সহাবস্থানের মূল্যবোধের প্রসার এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের উদ্যোগ জোরদার করা।

সূত্র: বাসস

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top