সকল মেনু

চৌহালী উপজেলা পরিষদের ২ ভবন ও মসজিদ যমুনায় বিলীন

chowhali-bg20130801005435ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম,সিরাজগঞ্জ: যমুনা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় নদীভাঙন আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

নদীর তীব্র স্রোত ও ঘূর্ণাবতে চৌহালী উপজেলা পরিষদের দু’টি ভবন ও উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ ভাঙনে এই ভবনগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়।

তবে বর্ষা মৌসুমের প্রথম থেকেই ঝুঁকির মধ্যে থাকায় কিছু মালপত্র নিয়ে আগেই বাসিন্দারা এসব ভবন ছেড়ে অনত্র চলে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই চৌহালী উপজেলায় নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র স্রোত ও ঘূর্ণাবতের সৃষ্টি হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলা ত্রাণ শিবির ভবনে প্রথম ভাঙন দেখা দেয়। এর কিছুক্ষণ পর উপজেলা পরিষদের গেজেটেড অফিসারদের সরকারি স্টাফ কোয়ার্টার মুহূর্তের মধ্যেই যমুনায় বিলীন হয়ে যায়। সর্বশেষ সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদও নদীগর্ভে চলে যায়। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙন কবলিত স্থানে বালুর বস্তা ডাম্পিং শুরু করে।

চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ভাঙনের বিষয়টি নিশ্চিত করে হটনিউজকে জানান, প্রতিনিয়ত ভাঙনের ফলে একের পর এক সরকারি ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে সিসি ব্লক ও বালুর বস্তা ডাম্পিং করেও ভাঙন থামানো যাচ্ছে না।

আরো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে ইউএনও সরকারি বাসভবন, উপজেলা সমবায় অফিস, বন বিভাগের একটি নার্সারি ও ভবন, থানার স্টাফ কোয়ার্টারসহ প্রায় ছয়টি ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এই ভাঙন থামাতে এরই মধ্যে ৫৫ হাজার ব্যাগ বালুর বস্তা ও পাঁচ হাজার সিসি ব্লক ফেলা হয়েছে পাউবোর পক্ষ থেকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top