সকল মেনু

তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নতি হয় – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

হটনিউজ ডেস্ক: যাদের হাতে দেশ স্বাধীন হয়েছে তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যারা উড়ে এসে জুড়ে বসে তাদের দিয়ে দেশের কোনও উন্নতি হয় না।’

রবিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভবনের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শিখা চির অম্লান প্রজ্জ্বালনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ছোট ছোট শিশুরা ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ গানটির সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী জাদুঘরের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন জানতে পারে, কত ত্যাগের বিনিময়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেই স্মৃতিচিহ্নগুলো তারা দেখবে, অন্তরে ধারন করবে, নিজেদের চরিত্র গঠন করবে, দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হবে।’

 

ব্যতিক্রমী স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত নয় তলা জাদুঘর ভবনটি আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালের বিপরীত দিকে অবস্থিত। প্রায় দুই বিঘা জায়গাজুড়ে নির্মিত ভবনের ব্যবহার যোগ্য আয়তন ১ লাখ ৮৫ হাজার বর্গফুট। ২০১১ সালের ৪ মে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবনটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এতদিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটি সেগুনবাগিচার একটি ছোট্ট দোতলা বাড়িতে ছিল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিচালনা করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। এর জন্য আছে ট্রাস্ট ও ট্রাস্ট ফান্ড। এসব ফান্ডে বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করছি। সেখানে ছোট পরিসরে হলেও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থাকবে । যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানতে পারে কত মহান ত্যাগের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেই স্মৃতি চিহ্নগুলো তারা দেখবে, উপলব্ধি করবে, অন্তরে ধারন করবে, সেভাবে নিজেদের চরিত্রকে গঠন করবে এবং দেশপ্রেমে তারা উদ্বুদ্ধ হবে।’

 

বঙ্গবন্ধু হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ এর পর এমন একটা সময় এসেছে যখন মানুষ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কথা বলতে ভয় পেতো। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধারা গর্ব ভরে বলতে পারেন আমি মুক্তিযোদ্ধা। সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে, স্বাধীনতা বিরোধীদের তারা প্রধানমন্ত্রী ও উপদেষ্টা বানিয়েছে। সামরিক বাহিনীতে ১৯ বার ক্যু হয়েছে, শত শত অফিসারকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করেছে, তাদের কারাগার থেকে মুক্ত করে পুর্নবাসন করেছে। যার ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া রাজাকার, আল বদরদের মন্ত্রী বানিয়েছে।’

দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে সরকারের আন্তরিকতা, উদ্যোগ ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ভৌগলিক সীমা রেখায় ছোট, কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে একেবারে কম না। এই জনশক্তিকে শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞানে, প্রযুক্তি উন্নত করতে চাই।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top