সকল মেনু

দেবীর ভাস্কর্য রাখা না রাখার এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের

হটনিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগসাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট নিজস্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাস্কর্য স্থাপন করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এই ভাস্কর্য রাখা বা না রাখার সিদ্ধান্ত ও এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বিষয়।’ শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন হাছান মাহমুদ। (শুক্রবার) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্যের জবাব দিতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সর্ম্পকে আওয়ামী লীগের অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহের সামনে স্থাপিত কোনও ভাস্কর্য যেন কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না করে, তা নিশ্চিত করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে যে মতামত দিয়েছেন তা হলো— সুপ্রিম কোর্টের সামনে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। আর এ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের স্বকীয়তা রক্ষা করা উচিত।’
আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র বলেন, ‘মূর্তি ও ভাস্কর্য এক নয়। অনেক ভাস্কর্য রয়েছে যা কোনও দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ।’ তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য রাখা বা না রাখার সম্পূর্ণ এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের। এর কারণে যেন কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে এবং নামাজের সময় তা যেন না দেখা যায়, কেবল সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
বিএনপি পাকিস্তানের স্বার্থ সংরক্ষণে রাজনীতি করে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে দুর্বল করার জন্যই ভারত পাকিস্তানকে দুই ভাগে ভাগ করেছিল’— এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের কথায় প্রমাণ হয় তারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের টাকায় তারা রাজনীতি করেন।’ এ কারণেই বিএনপি কখনও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক চায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top