সকল মেনু

আইপিইউ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কাজ করবে

হটনিউজ ডেস্ক:জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে বড় পরিসরে কাজ করতে চায় ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)। এ লক্ষ্যে একটি কৌশলপত্র গ্রহণ করেছে বিশ্বের আইন-প্রণেতাদের এই ফোরাম। ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনের আগের দিন ৩১ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফোরামটির গভর্নিং কাউন্সিলের (নির্বাহী কমিটি) সভায়  এ বিষয়ে একটি খসড়া ধারণাপত্র নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। বুধবার আইপিইউ’র প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানা গেছে।

বিশ্বের সব চেয়ে বড় এই সংসদীয় ফোরাম মনে করে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশ যেসব পদেক্ষপ গ্রহণ করেছে, তা যথাযথ নয়। দেশগুলোর পদক্ষেপ স্থায়ীভাবে জঙ্গি দমনের সঠিক পন্থাও নয়। আইপিইউর মতে দেশগুলো জঙ্গিদের আক্রমণ ঠেকিয়ে যাচ্ছে। বা আক্রান্ত হলে তা মোকাবিলা করছে। কিন্তু জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ বা নির্মূলে তারা দৃশ্যত এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সেই জন্য আইপিইউ এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত পাঁচ দিনব্যাপী আইপিইউ সম্মেলন শেষে বুধবার আইপিইউ’র প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ একটি গ্লোবাল ইস্যু। বিশ্বের কোনও দেশ এর বাইরে নয়। এ জন্য আইপিউ এটা নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছে। এই বিষয়ে যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তা অনেকটাই চূড়ান্ত। কৌশলটি অবশ্যই বিভিন্ন দেশের আইনসভার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সেটা আইপিইউ ঠিক করে দেবে।’ বাস্তবায়ন কৌশল ঠিক করতে জাতিসংঘ বা অন্যান্য যেসব আন্তর্জাতিক আইন আছে তা পর্যালোচনা করার কথাও জানান আইপিইউ প্রেসিডেন্ট।

এ বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম তুলে ধরে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ নিয়ে জাতিসংঘে যতগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইতোমধ্যে সেগুলো সংগ্রহ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, এসব ক্ষেত্রে সংসদের ভূমিকা কী হবে, তা জাতিসংঘের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। আইপিইউ সেই কাজটি করার চেষ্টা করবে।’ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সংসদগুলোকে প্রয়োজন হলে আইপিইউ আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে বলেও জানান ফোরামটির সভাপতি।

এদিকে জঙ্গিবাদ মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ হিসেবে ঢাকায় আইপিইউ সম্মেলন করা হয়েছে উল্লেখ করে সম্মেলনের শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন,  ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে জঙ্গি হামলার পরও আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে আমরা এ সম্মেলন সফলভাবে শেষ করে ভয়কে জয় করেছি। আগামীতেও এ ধরনের যেকোনও ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্বের পার্লামেন্টারি ফেরামের সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াব। সন্ত্রাসবাদের অশুভ তৎপরতায় আমরা ভয় পেয়ে বসে থাকব না।’

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে আইপিইউ’র ১৩৭তম সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘সেন্ট পিটার্সবার্গে হামলা হয়েছে। এরপরও সেখানে আইপিইউর পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জঙ্গিদের ভয়ে আমরা থেমে থাকব না। জঙ্গিবাদকে মোকাবিলা করার জন্যই আমরা সেখানে যাব। ঢাকার সম্মেলন প্রমাণ করেছে, আয়োজক দেশের সংসদ যদি রাজি থাকে, তবে আমরা বিশ্ব গণতান্ত্রিক সম্প্রদায় যেখানেই হোক না কেন যাব। আমরা সংসদ সদস্যরা যদি সন্ত্রাসী হামলা বা নিরাপত্তা ইস্যুতে ভীত হই, তাহলে এগুলো দমনে সরকারকে কী করে সহযোগিতা করব।’

ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনের সভাপতি ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘জঙ্গি হামলার ভয়কে উপেক্ষা করে বিশ্ব নেতারা এই সম্মেলনে জড়ো হয়েছেন। এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top