সকল মেনু

বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে

হটনিউজ ডেস্ক: তামিম ইকবালকে অগ্রপথিক ধরা হয়েছিল। কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই নেই তার উইকেট। ওই ধাক্কার প্রভাব পড়ল পুরো ম্যাচজুড়ে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সাজঘরে ফিরেছেন নিয়মিত বিরতিতে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে তারা করেছে ১৫৫ রান।

দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বাধ সাধে বৃষ্টি। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বৃষ্টিতে বন্ধ ছিল খেলা। সাড়ে ৭টার খেলা শুরু হয় সোয়া ৮টার দিকে। প্রথম ওভার করেন সাবেক অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা। এ পেসারের দুরন্ত গতির কাছে দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হন তামিম।দুই বল খেলে রানের খাতা না খুলে আউট হন বাংলাদেশের ভরসার প্রতীক।

অবশ্য সাব্বির ও সৌম্যের ব্যাটে প্রথম ওভারের ধাক্কা ভালোভাবে কাটিয়ে উঠতে থাকে বাংলাদেশ। সৌম্য ও সাব্বির বুঝেশুনে খেলতে থাকেন। ৫ ওভারে তারা তোলেন ৫৭ রান। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে ভিকুম সঞ্জায়া বল হাতে নিতেই বাধে বিপত্তি। ওই ওভারের প্রথম বলে দৌড়ে একটি রান নিতে গিয়ে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে রান আউট হন সাব্বির। সেকুগে প্রসন্নের সরাসরি থ্রোতে থামে সাব্বিরের ১৬ রানের ইনিংস। ওই ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাচ হন সৌম্য (২৯)।  আকাশ ছোঁয়া তার শটটি লং অনে থিসারা পেরেরার মুঠোয় ধরা পড়ে।

সাব্বিরের বিদায়ের পর যেন উইকেটের মড়ক লাগে।  ৫৭ রানের জুটি ভাঙলে ২৫ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।  মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানরা ধৈর্য্য ধরতে পারেননি।

সুইপ করতে গিয়ে আসেলা গুনারত্নের বলটি ব্যাট লাগাতে পারেননি মুশফিক, ভেঙে যায় স্টাম্প। মাত্র ৯ বলে ৮ রান করেন তিনি। সেকুগের বলে কভারে মারতে চেয়েছিলেন সাকিব, কিন্তু শটে জোর ছিল না বলে পয়েন্টে গুনারত্নের ক্যাচ হন তিনি। মাত্র ১১ রানে আউট হন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।

১১.১ ওভারে ৮২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন সামলে উঠার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের জুটিতে আসে ৫৭ রান। তবে মাহমুদউল্লাহ শেষ পর্যন্ত খেলতে পারেননি। ২৬ বলে ৩১ রান করে মালিঙ্গার দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। মোসাদ্দেক ৩৪ ও মাশরাফি ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top