সকল মেনু

ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব দিলেন ট্রাম্প মেয়ে-জামাইসহ কর্মকর্তাদের

বিদেশ ডেস্ক: মেয়ে ইভানকা ও জামাতা জ্যারেড কুশনারসহ নিজের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নিজের এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সম্পত্তির হিসেব দেননি তিনি।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাতে তথ্যগুলো প্রকাশ করেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই তালিকা দেখে বোঝা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন ধনশালী উপদেষ্টা ট্রাম্পের সঙ্গে আছেন।

উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউসের কমকর্তাদের সম্পত্তির হিসেব প্রকাশ করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অবশ্য, ওই তালিকায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সম্পত্তির হিসেব অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। হোয়াইট হাউসের এথিকস কর্মকর্তারা বলছেন, এ তালিকার মধ্য দিয়ে কর্মকর্তাদের হোয়াইট হাউসে আসার সময় যে সম্পত্তি ছিল তার হিসেব দেওয়া হয়েছে। তালিকাটি তৈরির আগেই ওই কর্মকর্তারা স্বার্থজনিত সংঘাত তৈরি করতে পারে এমন স্টক ও সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে শুরু করেছিলেন।

হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত সে তথ্যে দেখা গেছে, গোল্ডম্যান স্যাকস এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের প্রধান গ্যারি কোহনের অন্তত ২৩০ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পত্তি রয়েছে। অবশ্য, গ্যারির কিছু সম্পত্তির ব্যাপারে স্বল্প তথ্য দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সেগুলো ১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের হতে পারে। হোয়াইট হাউসে আসার আগে বছরে গ্যারির আয় ছিল ৪৮ মিলিয়ন ডলার থেকে ৭৭ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত।

জ্যারেড কুশনারের রিপোর্টটি ৫৬ পৃষ্ঠার। সেখানকার বেশিরভাগ সম্পত্তি ও আয় স্ত্রী ইভানকা ট্রাম্পের নামে দেখানো হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভানকা ও জ্যারেড কুশনারের রিয়েল এস্টেট ও বিনিয়োগ সাম্রাজ্য মিলিয়ে ৭৪১ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পত্তি রয়েছে। ২৬৬ এলএলসি, করপোরেশন, গ্রুপ ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে কুশনার নির্বাহী পদে ছিলেন। জানুয়ারিতে সেইসব প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

সম্প্রতি মেয়ে ইভানকাকে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। তার একটি ফ্যাশন ব্যবসা রয়েছে। সেইসঙ্গে ইভানকা বাবার বৈশ্বিক রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তবে বাবা যখন হোয়াইট হাউসে আসেন তখনই ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়ান ইভানকা।

তালিকায় দেখা গেছে, ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব পাওয়ার আগে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, রিয়েল এস্টেট ও অন্যান্য হোল্ডিংস-এ সম্পত্তির পরিমাণ ৩.৩ মিলিয়ন ডলার থেকে ১২.৬ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পত্তি রয়েছে।

হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ রেন্স প্রিয়েবাসের ৬ লাখ ৪ হাজার ডলার থেকে ১.১৬ মিলিয়ন সমমূল্যের সম্পত্তি রয়েছে। আর তার আয় ১.৪২ মিলিয়ন ডলার। প্রিয়েবাসের আয়ের প্রায় ৫ লাখ ৬৬ হাজার ডলার এসেছে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি থেকে। আর বাকি আয়টুকু হয়েছে মিলওয়াউকির এক আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অংশীদারত্ব থেকে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওবামা প্রশাসনে যেসব কর্মকর্তা ছিলেন তাদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই সাদামাটা ও পরিমিত অর্থের অধিকারী ছিলেন। আর ট্রাম্প প্রশাসনে এমন লোকের সংখ্যা মাত্র এক তৃতীয়াংশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top