সকল মেনু

২ জঙ্গি ছিল কোটবাড়ীর আস্তানায় : ডিআইজি

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার কোটবাড়ীর জঙ্গি আস্তানায় দুই জঙ্গি ছিল বলে জানিয়েছেন  চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘কোটবাড়ীর জঙ্গি আস্তানায় যে দুই জঙ্গি ছিল, তার মধ্যে একজনের নাম আনাস ওরফে আনিস, অন্যজনের নাম রনি।  দুই জঙ্গিরি একজন বুধবার সকাল ১০টার আগেই চলে গেছে, অন্যজন বিকালে হয়তো পালিয়ে গেছে।’ শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে  তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিআইজি বলেন, ‘কোটবাড়ীর জঙ্গি আস্তানায় যে দুই জঙ্গি ছিল তাদের একজনের নাম আনাস ওরফে আনিস। তার বাড়ি নোয়াখালী। বয়স ১৯/২০ বছর। সে পাঁচ মাস আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছে। আরেকজন নাম রনি। সে নব্য জেএমবির সদস্য। তার বয়স ২২/২৩ বছর। বাড়ি রাজশাহী। সেও পাঁচ মাস আগে নিখোঁজ হয়েছে।’

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি  বলেন, ‘জঙ্গি আস্তানায় যে দুই জঙ্গি ছিল, তাদের মধ্যে আনিস বুধবার সকাল ১০টার আগেই চলে গেছে। আরেকজন বিকাল পৌনে চারটায় যখন জঙ্গি আস্তানা হিসেবে বাড়িটি চিহ্নিত করি, তার আগেই হয়তো পালিয়ে যায়।’ তিনি আরও  বলেন, ‘জঙ্গিদের একটি কৌশল আছে। একজন বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আরেকজনকে নির্দিষ্ট সময় দিয়ে যায়। এর মধ্যে যদি সে ফিরে না আসে, তাহলে অন্যজন বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এ পন্থা ব্যবহার করে হয়তো দ্বিতীয়জন বেরিয়ে গেছে। যে কারণে আস্তানায় আমরা কাউকে পাইনি। তবে তারা দু’জনই এখানে ছিল আমরা নিশ্চিত।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, ‘আমরা মিরসরাইয়ের জঙ্গি আস্তানা থেকে দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করি। তাদের দেওয়া তথ্যমতেই কোটবাড়ীতে অভিযান চালানো হয়। তারা মার্চের ১ তারিখে এ বাসা ভাড়া নেয়। তারা প্রথমে সীতাকুণ্ড এলাকায় বাসা ভাড়া নিতে চেয়েছিল কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তারা নিতে পারেনি। এ জন্য ওই জেএমবিদের পরামর্শে তারা এখানে আসে।’

বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের ব্যাপারে শফিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পাঁচ কেজি ওজনের দু’টি বোমা রয়েছে। সীতাকুণ্ডের জঙ্গি আস্তানায় যে ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল এটাও একই ধরনের। এছাড়া সেখানে চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড ও দু’টি সুইসাইডাল ভেস্ট রয়েছে। জঙ্গির আস্তানায় গ্যাস ছোড়ার কারণে আমাদের বোম ডিসপোজাল ইউনিট গ্যাসের কারণে কাজ করতে পারেনি। এছাড়া বিদ্যুৎ না থাকায় সেখানে ঘুটঘুটে অন্ধকার। এ জন্য আমরা আজ বোম নিষ্ক্রিয় কার্যক্রম স্থগিত রেখেছি। শনিবার সকালে বোমা নিষ্ক্রিয়তার কাজ আবার শুরু হবে।’

এর আগে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সোয়াট টিমের সদস্যরা কোটবাড়ীতে অভিযান শুরু করে। জঙ্গি আস্তানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ওই এলাকায় ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

উল্লেখ্য, কোটবাড়ীর নির্মাণাধীন ওই বাড়িটি বুধবার বিকাল থেকে ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে বৃহস্পতিবার সেখানে অভিযান চালানো হয়নি। তবে ওই দিনই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ২৪ জনের একটি টিম সদস্য কুমিল্লায় আসে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top