সকল মেনু

মার্সেলের এ বছর ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চমান, সাশ্রয়ী মূল্য এবং সেরা বিক্রয়োত্তর সেবা- এই তিন কারণে খুব দ্রুত শীর্ষে উঠে আসছে মার্সেল। বাংলাদেশী ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের বাজারে স্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেছে ব্র্যান্ড টি। ফলে দেশব্যাপী বাড়ছে মার্সেল পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি। পণ্য বিক্রিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখে চলেছে এই ব্র্যান্ড। গত বছর তারা ৪২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। এ বছর তাদের লক্ষ্য ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
মার্সেল সূত্রমতে, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) ফ্রিজ, এলইডি টিভি, এসিসহ অন্যান্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস বিক্রিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা লক্ষ্য করা গেছে। ২০১৬ সালের প্রথম দুই মাসে তুলনায় ২০১৭ সালে ফ্রিজ বিক্রি বেড়েছে ৪০ শতাংশেরও বেশি। একই সময়ে এসি ও এলইডি টিভি বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ৭০ ও ৮৪ শতাংশ। বেড়েছে বিভিন্ন ধরণের হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেসের বিক্রি।
মার্সেল বিপণন বিভাগের প্রিন্সিপাল অফিসার নাসিমা আক্তার জানান, গত কয়েক বছর ধরে গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে মার্সেল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে পণ্য বিক্রিতে ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে ৪২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এর পেছনে তিনি যুক্তি দেখান, দেশেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে উচ্চমানের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরন, সাশ্রয়ী মূল্য, আকর্ষণীয় ডিজাইন, দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস নেটওয়ার্ক থাকায় সারাদেশে ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পেয়েছে মার্সেল। যার প্রেক্ষিতে চলতি বছর ৫০ শতাংশেরও বেশি পণ্য বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বছর শেষে যা অর্জিত হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কর্তৃপক্ষ জানায়, উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিপণন কৌশল সর্বত্রই নেয়া হয়েছে আধুনিক ও সময়োপযোগি কর্মপরিকল্পনা। প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হয়েছে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ গ্যাসযুক্ত রেফ্রিজারেটর, সিলিং ফ্যান, এসিড লেড রিচার্জেবল ব্যাটারি, ইলেকট্রিক সুইস-সকেটসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল পণ্য। আপকামিং পণ্যের তালিকায় রয়েছে হেয়ার ড্রায়ার ও স্ট্রেইটনার, মপ সেট, এয়ার ফ্রায়ার, জুসার, ক্লথ ড্রায়ার, ফুড প্রসেসের, কুকওয়্যার, ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স, কেক মেকার, ডোনাট মেকার, কফি মেকার, স্যান্ডউইচ মেকার সহ অসংখ্য হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস। সর্বোচ্চ গুণগত মান নিশ্চিত করতে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে। দেশব্যাপী ব্ল্যাঙ্ক পয়েন্টগুলোতে চালু করা হচ্ছে নতুন নতুন সেলস ও সার্ভিস পয়েন্ট।
মার্সেলের রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ২০টির বেশি পণ্যের শতাধিক আকর্ষণীয় ডিজাইন ও মডেল। এরমধ্যে আছে ৩১টি মডেলের রেফ্রিজারেটর, ৪ মডেলের ফ্রিজার, ৩১ মডেলের এলইডি টিভি, ৪ মডেলের এয়ার কন্ডিশনার, ৮ মডেলের রিচার্জেবল ফ্যান, ২ মডেলের সিলিং ফ্যান, ৩ মডেলের ইলেকট্রিক কেটলি, ৪ মডেলের ব্লেন্ডার, ৮ রকমের রাইস কুকার, ৪ ধরনের আয়রন- রিচার্জেবল ল্যাম্প ও টর্চলাইট, ৩ মডেলের রুম হিটার ও ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, ২ মডেলের গ্যাস স্টোভ, ১টি করে মডেলের ইন্ডাসকশন কুকারসহ অন্যান্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস।


টাঙ্গাইল শহরের বাসিন্দা গৃহিনী সানজিদা আক্তার বলেন, বছর চারেক আগে তিনি মার্সেলের ফ্রিজ কিনেছিলেন। নির্বিঘেœ চলছে। আর কোনো সমস্যা হলেও ফোন দিলেই ওরা লোক পাঠিয়ে দেয়। সার্ভিস খুবই ভালো। কয়েকদিন আগেও মার্সেলের একটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি কিনেছি। ভালো চলছে, আমি হ্যাপি।
মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (উত্তর) মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য- পণ্য হতে হবে উচ্চমানের, দাম থাকতে হবে ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। দেশেই নিজস্ব কারখানায় পণ্য তৈরি হচ্ছে বলে উচ্চমান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। প্রতিনিয়তই বাজারে ছাড়া হচ্ছে নতুন নতুন ডিজাইন ও বৈচিত্র্যময় কালারের পণ্য। ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারে মার্সেল অচিরেই শীর্ষ ব্র্যান্ডে উঠে আসবে বলে আশাবাদি তিনি।
মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) শামীম আল মামুন বলেন, প্রতিবছরই স্থানীয় বাজারে মার্কেট শেয়ার বাড়ছে মার্সেলের। যার প্রেক্ষিতে, চলতি বছর পণ্য বিক্রিতে ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আর মার্সেল পণ্যের চাহিদা যেভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে তাতে চলতি বছরের জন্য নির্ধারিত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সহজেই অর্জন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গ্রাহকের দোরগোড়ায় দ্রুত উচ্চমানের সেবা পৌছে দিতে দেশব্যাপী সার্ভিস সেন্টার রয়েছে মার্সেলের। যেখানে কাজ করছেন প্রায় ৩ হাজার অভিজ্ঞ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান। এছাড়া মার্সেলের এলইডি টিভি ও এসিতে আছে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি। ফ্রিজের ক্ষেত্রে রয়েছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। অন্যান্য পণ্যেও রয়েছে সার্ভিস ওয়ারেন্টিসহ বিভিন্ন সুবিধা ও ছাড়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top