সকল মেনু

আজ পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ‘তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,/ গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়;’ চিরসবুজ বাংলায় এভাবেই ‘নিমন্ত্রণ’ জানানো পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (১৪ মার্চ)। এ উপলক্ষে সকালে কবির গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুরে তার কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। আয়োজন রয়েছে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলেরও। জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এসব কর্মসূচির আয়োজন করছে।

বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান ও জনপ্রিয় এ কবি জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি  ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে। তার বাবা আনসারউদ্দীন মোল্লা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। জসীমউদ্দীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রিধারী।

এমএ ডিগ্রি লাভের আগে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে পড়ার সময় ‘কবর’ কবিতা রচনা করে তিনি বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই তার এ কবিতা প্রবেশিকা বাংলা সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়। কবি হিসেবে এটি তার এক অসামান্য সাফল্য।

জসীমউদ্দীনের নন্দিত রচনার মধ্যে বেদের মেয়ে (উপন্যাস), সোজন বাদিয়ার ঘাট (কাব্য), নক্সী কাঁথার মাঠ (কাব্য) এবং কবর, নিমন্ত্রণ, রাখাল ছেলে, আসমানীসহ বিভিন্ন কবিতা আজও আন্দোলিত করে পাঠকের হৃদয়।

সাহিত্যে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি প্রেসিডেন্টের প্রাইড অব পারফরমেন্স পুরস্কার (১৯৫৮), রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রি (১৯৬৯), বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক (১৯৭৬) ও স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারসহ (মরণোত্তর, ১৯৭৮) অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হন।

জসীমউদ্দীন ১৯৭৬ সালের এ দিনে ৭৩ বছর বয়সে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ফরিদপুরের গোবিন্দপুর গ্রামে কবির পৈতৃক ভিটায় তার প্রিয় ডালিমগাছের নিচে জসীমউদ্দীনকে সমাহিত করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top