সকল মেনু

ড. ইউনূসকে গ্রামীণফোনের লাইসেন্স দিয়েছিলাম অন্যকে ঠকিয়ে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক: অন্য একজনকে ঠকিয়ে ড. ইউনূসকে গ্রামীণফোনের লাইসেন্স দিয়েছিলেন বলে সংসদে স্বীকার করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী নাসিম বলেন বলেন, ‘এই লোকটাকে (ড. ইউনূসকে) মোবাইল ফোনের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই সংসদে দাঁড়িয়ে স্বীকার করছি, আমরা অন্যায় করেছিলাম। একজনকে ঠকিয়ে আমরা ইউনূস সাহেবকে লাইসেন্স দিয়েছিলাম। সেটা তিনি বিক্রি করে নোবেল প্রাইজ নিয়েছেন।’ বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি রয়েছেন। তিনি ড. ইউনূস সাহেব। তাকে সম্মান করি। আমরা সম্মান করে ভুল করেছিলাম। এই সংসদে দাঁড়িয়ে স্বীকার করছি, ৪ জনের মধ্যে ৩জন মোবাইলের লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। একজনকে ঠকিয়ে আমরা এই ইউনূস সাহেবকে লাইসেন্স দিয়েছিলাম। সেই অর্থ বিক্রি করে নোবেল প্রাইজ নিয়েছেন। লাইসেন্স পেয়েই তিনি বেইমানি করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিনা পয়সায় রেলওয়ের অপটিক্যাল ফাইবার দিয়েছিলাম। তা দিয়ে তিনি গ্রামীণ ফোনের লাইন করেছিলেন। আমরা জানতাম না, তার মধ্যে এসব ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে। তিনি দুনিয়ার কাছে প্রমাণ করতে চাইলেন বাংলাদেশ দুর্নীতিবাজ। তবে শেখ হাসিনা আছেন বলেই আজ প্রমাণিত হয়েছে ওরা মিথ্যাবাদী। আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা সত্যবাদী। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে দিয়ে প্রমাণ করেছেন। ’

শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডেলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার অধিকার কারও নেই। এমনকী শেখ হাসিনারও নেই। ২০১৯ সালে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।’

বিএনপির নির্বাচনকালীন সরকারের ফর্মুলার প্রসঙ্গ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওদের (বিএনপির) শখ হয়েছে। নির্বাচনকারীল সরকারের ফর্মুলা দেবে। কেন দেবে, কী দেবে? ২০১৪ সালের আগেও আপনারা দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন আসুন। কিন্তু আপনারা আসেননি। এখন আপনাদের কথা শুনলে ২০১৪ সালে যারা রক্ত দিয়েছেন, তাদের কাছে কী জবাবদিহি করব?’

বিএনপিকে পাকিস্তানের পক্ষের শক্তি আখ্যায়িত করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘‘একাত্তরে পাকিস্তানিরা ছিল আমাদের শত্রু। এখন আমাদের শত্রু খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। আমরা কোনও রাখঢাক করে রাজনীতি করি না। আমরা জানি শত্রু কে হবে। হয় ‘ও’ হারবে, আমি জিতব। না হয় ‘ও’ জিতবে, আমি হারব। এছাড়া কোনও পথ নেই।’’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার প্রতি ইঙ্গিত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বলছেন, রোজ কেয়ামত হলেও শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না। আমরা বলতে চাই, আল্লাহ না করুক, রোজ কেয়ামত পর্যন্ত জেলে না থাকেন।’

বিএনপিকে নির্বাচনে প্রত্যাশা করে নাসিম বলেন, ‘২০১৯ সালে নির্বাচন হবে। আমরা মাঠে খেলব। তবে একা খেলতে ভালো লাগে না। আপনারা আপানাদের সঙ্গে নিয়ে খেলতে চাই। আমাদের ক্যাপ্টেন যিনি আছেন, তার নেতৃত্বে ইনশায়াল্লাহ আবার জয়লাভ করব।’

কমিউনিটি ক্লিনিকের ওপর নজরদারি বাড়াতে সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এমপিরা এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো তত্ত্বাবধায়ন করলে তারাই লাভবান হবেন। দেশের গরিব শ্রমজীবী মানুষ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় সেবা নিয়ে থাকেন। তারা যদি দেখেন, এমপিরা এটার দেখভাল করছেন, তাহলে তারা খুশি হবেন।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top