সকল মেনু

বাঘারপাড়ায় শীতকালিন মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন

আব্দুল ওয়াহাব মুকুল, যশোর প্রতিনিধি : সবজি হিসাবে মিষ্টি কুমড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই বাঘারপাড়ায় আখ, ধান, পাট, কাকরোলের ন্যায় মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে। কম খরচ অল্প সময়ে লাভের পরিমান বেশি হওয়ায় কৃষকেরা মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুকছে।
বাঘারপাড়া কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে ভাইরাস ও সংক্রামক রোগ বেশি ছিল। যে কারনে এ বছর চাষের পরিমান কমেছে। এ মৌসুমে ৬০ হেক্টর  জমিতে চাষ হয়েছে। যা গত মৌসুমে ছিল ৯০ হেক্টর। বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা গ্রামের আক্তার আলী বলেন, গত মৌসুমে তিনি ১২ কাঠ জমিতে শীতকালীন মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন। এ চাষ বাবদ খরচ ৪ হাজার টাকা এবং বিক্রি করেন ৩৫ হাজার টাকা। এবছরে তিনি ১ বিঘায় কুমড়া চাষ করেছেন। রোগবালাই কম ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন বেশ ভালো। একই গ্রামের ইকরামুল শিকদার বলেন, গতবার চাষে ভাইরাসে তার চরম ক্ষতি হয়। এবার ফলন  ভাল হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। বাঘারপাড়ায় আখ চাষ বেশি হলেও বর্তমানে কুমড়া চাষ বেশ বিস্তার লাভ করেছে। কুমড়া চাষে তুলনামুলক খরচ কম। এ চাষে অতিরিক্ত শ্রম দেওয়া দেওয়া লাগে না। ক্ষেত থেকে কুমড়া বিক্রি হয়ে যায়। এসব নানা সুবিধার কারনে এ চাষে ঝুকছে কৃষকেরা।  পাইকারি কুমড়া ব্যাবসায়ী মিলন মাহমুদ বলেন, বাঘারপাড়ার কুমড়ার মান ভাল হওয়ায় বিক্রি করতে সুবিধা হয়। তিনি এখান থেকে কুমড়া নিয়ে খুলনা ও নওয়াড়ায় বিক্রি করে থাকেন। যেখানে বাঘাপাড়ার কুমড়ার সুনাম রয়েছে। বাঘারপাড়া উপ- সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আহম্মদ আলী বলেন, ভাল মানের বীজ হলে এবং অফিসের পরমার্শ নিলে ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব। এমন কি কাঠা প্রতি ১০ মন কুমড়া উৎপাদন সম্ভব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top